ধর্ষকের পরিণতি ইহাই, ধর্ষকরা সাবধান: হারকিউলিস

নন্দিত ডেস্ক:কিছুদিন আগেই ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ধর্ষণ মামলার এক আসামীর গুলিবিদ্ধ লাশ নিয়ে হইচই হয়েছিল। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজাপুর উপজেলা থেকে ওই ধর্ষণ মামলার অপর আসামীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এবার লাশের গলায় চিরকুটে লেখা ছিল ‘আমি পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার ধর্ষক রাকিব, ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকরা সাবধান। হারকিউলিস’। শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রাজাপুর উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামে একটি ইটভাটার পাশের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ভিটাবাড়ি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব। ভাণ্ডারিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সে। ওই মামলার অপর আসামী সজল জোমাদ্দারকেও হত্যা করে গলায় চিরকুট বেঁধে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল ধানক্ষেতে। চিরকুটে যে হারকিউলিসের কথা বলা হয়েছে সে একজন গ্রিক দেবতা ছিলেন। রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেন জানান, দুপুরে আঙ্গারিয়া গ্রামের একটি ইটভাটার পাশে রাকিবের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। রাজাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, নিহতের বুকে লেমিনেটিং করা একটি কাগজে লেখা ছিল ‘আমি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার......... ধর্ষক রাকিব। ধর্ষণের পরিনতি ইহাই। ধর্ষকরা সাবধান। হারকিউলিস।’ খবর পেয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মো. মোজাম্মেল হক রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গত ১২ জানুয়ারি সকালে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে পানের বরজে নিয়ে দেলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার গত ১৭ জানুয়ারি ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা করে। শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ভিটাবাড়ি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হাসান (২৮) এবং নদমুলা গ্রামের আলম জোমাদ্দারের ছেলে সজল জোমাদ্দারকে (২৮) সেখানে আসামী করা হয়। সজলের লাশ এর আগে কাঁঠালিয়া উপজেলার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন সজলের বাবা। তবে পুলিশ এখনো হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।