বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, ফ্লাইট বাতিল

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী বিজি- ৪৯৬ ফ্লাইটটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে গতকাল রাত ১১টার দিকে বিমানের ৭০ যাত্রীর মধ্যে ২৬ জনকে সৈয়দপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টায় বিমানের ফ্লাইটটি সৈয়দপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়নের কথা ছিল।

বিষয়টি নিয়ে রাজধানীর আদাবর এলাকার বাসিন্দা এম এম ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের মালিক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, তিনি পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় বিজিবির একটি কনস্ট্রাকশনের কাজ করছেন। জরুরি প্রয়োজনে রাতে রাজধানীতে ফিরতে বিমানে ওঠেন। বিমানে সব যাত্রী ওঠানোর পর; যান্ত্রিক ত্রুটির কথা ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রথমে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলা হলেও, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিমান কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অপরদিকে এটি ছিল সৈয়দপুর থেকে বিমানের সর্বশেষ ফ্লাইট। তাই যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বিমানটির যাত্রী কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বন্যা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আব্দুর রাজ্জাক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। রাতে যাত্রীদের থাকা ও খাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে অপারগতা প্রদর্শন করলে যাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে সৈয়দপুর শহরে ইকু হেরিটাইজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে থাকার ব্যবস্থা করে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, জরুরি প্রয়োজনে বিমানে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। রাতে অন্য একটি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রীদের ঢাকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইকু হেরিটাইজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ রানা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বিমানের ২৬ জন যাত্রীর জন্য বুকিং দিয়েছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওইসব যাত্রী কক্ষে উঠেছেন। যাত্রীদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছেন। এ ছাড়াও বিমানের পাইলটসহ ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন।