পেঁয়াজের কেজি ২৮ টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যার জন্য ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে নেই। হিলি বাজারে প্রতিটি পেঁয়াজের দোকানে দেশি পেঁয়াজ ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে গত সপ্তাহে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এসব দেশি পেঁয়াজ। দাম বাড়াতে অনেকটাই বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

হিলি কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মোসলেম উদ্দীন জানিয়েছেন, বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। প্রতিদিন কোনো না কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাল, ডাল, আলু, ডিম, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় পণ্যের দাম অনেক বেশি। যার কারণে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। একদিন চালের বাজারে মনিটরিং করার কারণে চালের দাম কিছুটা কমেছে। সেই জন্য নিয়মিত হিলি বাজারে মনিটরিং করা হলে সব নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক হতো বলে মনে করেন। সেই জন্য উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি করেন।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর রয়েছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে না থাকার কারণে দেশি পেঁয়াজের কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কমে যাবে। আগের মতো বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয় না।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ জানিয়েছেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা সব সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। তবে বাংলাদেশ সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়াতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। সামনে কোরবানি ঈদ। এই ঈদে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। যদি বাংলাদেশ সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি দেন তবে আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবো। সেই সঙ্গে দেশের বাজারে দামও কমে যাবে।