সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, টোলের টাকা দিয়েই ঋণের অর্থ পরিশোধ করা হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, পদ্মা সেতু থেকে প্রতি বছর ১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকার মতো টোল আসবে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টোলের পরিমাণও বাড়বে। টোলের এই টাকা থেকেই আগামী ৩৫ বছরে বার্ষিক ১ শতাংশ হারে সুদসহ ১৪০ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা হবে। এর আগে, গত ১৭ মে সেতু কর্তৃপক্ষের জারি করা টোল সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু পার হতে সর্বনিম্ন টোল দিতে হবে মোটরসাইকেল আরোহীকে। মোটরসাইকেলের জন্য টোল নির্ধারণ হয়েছে ১০০ টাকা, কার ও জিপ ৭৫০ টাকা, পিকআপ ১ হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১ হাজার ৩০০ টাকা। ছোট বাস (৩১ আসন বা এর কম) ১ হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) ২ হাজার টাকা এবং বড় বাস (৩ এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা।
এছাড়া ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ১ হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৫ টনের অধিক থেকে ৮ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের অধিক থেকে ১১ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং চার এক্সেলের ট্রেইলারের টোল সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণে সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ৩৫ বছরে সরকারকে সুদে-আসলে ৩৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সেতু থেকে আদায়কৃত টোল থেকেই ঋণের টাকা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ, নদীশাসন এবং আদায়কৃত টোলের ট্যাক্স ও ভ্যাট পরিশোধ করা হবে।
মন্তব্য