সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হয়েও যেভাবে প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস। নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বি ঋষি সুনাককে হারিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা এবং পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। 

নিজ দলের নেতাদেরই চাপের মুখে পড়ে গত ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন বরিস জনসন। এরপর শুরু হয় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া।

লিজ ট্রাস বরিস জনসনের অধীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি নারী বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।

ওই সময় বিরোধী দলগুলোর বরিস জনসনের প্রতি দাবি করেছিলেন, তিনি যেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ নির্বাচনও ঘোষণা করেন। কিন্তু বরিস তা করেননি। এর বদলে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। 

যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী যদি কেউ দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন তাহলে ওই দলটি তাদের নতুন নেতা নির্বাচন করবে এবং তিনিই দলীয় প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হবেন।

এভাবেই লিজ ট্রাস সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হয়েও দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

তবে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নেতা হতেও বেশ কয়েকটি ধাপ পার করতে হয়েছে লিজ ট্রাসকে। 

প্রথম ধাপ শুরু হয় নিজ দলের সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আগ্রহ দেখিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন আটজন। এই আট জন থেকে ভোটাভুটির মাধ্যমে সর্বশেষ প্রার্থী হিসেবে লিজ ট্রাস এবং ঋষি সুনাককে নির্বাচিত করেন কনজারভেটিভ পার্টির  সংসদ সদস্যরা। 

এরপর ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাসের মধ্যে সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এই নির্বাচনে ভোট দেন কনজারভেটিভ পার্টির সাধারণ সদস্যরা। 

তাদের মধ্যে ৮১, ৩২৬ জন সদস্য লিজ ট্রাসকে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে ঋষি সুনাককে ভোট দিয়েছে ৬০,৩৯৯ জন। ভোট দেওয়ার হার ছিল ৮২.৬ ভাগ। 

সূত্র: বিবিসি