ন্যাটোতে যোগদানে এরদোগানের সমর্থন পাবে না সুইডেন

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইঙ্গিত দিয়েছেন, তারা ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার অনুমোদন দেবেন। কিন্তু ফিনল্যান্ডের প্রতিবেশী সুইডেনকে অনুমোদন দেবেন রোববার এক টেলিভিশন ভাষণে এরদোগান এ কথা বলেন। খবর আলজাজিরার।

সুইডেনের উগ্র ডানপন্থি এক রাজনীতিবিদ সরকারের অনুমতি নিয়ে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মতো জঘন্য কাজ করেন।

এ ঘটনায় সুইডেনের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এরদোগান। এর পরই তিনি ঘোষণা দেন সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের অনুমোদন দেবেন না তিনি। 

এরদোগান বলেন, ‘আমরা ফিনল্যান্ডকে (ন্যাটোর অনুমোদনের ক্ষেত্রে) ভিন্ন বার্তা দেব এবং সুইডেন আমাদের এ বার্তা দেখে অবাক হবে। কিন্তু সুইডেন যে ভুল করেছে, ফিনল্যান্ডের সেই একই ভুল করা ঠিক হবে না।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। এর কয়েক মাস পরই ৩০ সদস্যের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে একসঙ্গে আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।

নতুন কোনো দেশ ন্যাটোর সদস্য হতে চাইলে— বর্তমান ৩০ সদস্যের প্রত্যেক দেশকে এর অনুমোদন দিতে হবে। ইতোমধ্যে ২৮ দেশ ফিনল্যান্ড-সুইডেনের আবেদন অনুমোদন করেছে। বাকি আছে শুধু হাঙ্গেরি ও তুরস্ক। আসছে ফেব্রুয়ারিতে হাঙ্গেরিও অনুমোদন দিয়ে দেবে।

এদিকে কুরআন পোড়ানোর ঘটনার আগ থেকেই সুইডেনের সঙ্গে তুরস্কের বিবাদ ছিল। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী ও একটি দুষ্কৃতকারী চক্র। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর ওই চক্রের অনেকে সুইডেনে পালিয়ে যান। তুরস্ক সুইডেনের কাছে ওই দুষ্কৃতকারীদের দীর্ঘদিন ধরে ফেরত চেয়ে আসছে। এ ছাড়া কিছু কুর্দি সন্ত্রাসীও সুইডেনে বসবাস করেন। তাদেরও যেন ফেরত পাঠানো হয় এ দাবি করে আসছে আঙ্কারা।

এরদোগান বলেন, ‘যদি সত্যিই আপনারা ন্যাটোতে যোগ দিতে চান। তা হলে ওই জঙ্গিদের ফেরত দেবেন। আপনারা ওই জঙ্গিদের ফেরত দেবেন তা হলে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবেন।’