শান্তিগঞ্জে আলো ছড়াচ্ছে কিশোর-কিশোরী ক্লাব

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় একসিলারেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্পের অধীনে ১৯টি শিশু ও কিশোর-কিশোরী ক্লাব গড়ে উঠেছে।

ক্লাবগুলোতে সপ্তাহে ৫ দিন জীবন দক্ষতা মূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় কিশোর কিশোরীদের সাথে। এছাড়া অনলাইন সেফটি,পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ,বাল্য বিবাহ ও শিশু শ্রম প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরী করা হচ্ছে।সেই সঙ্গে সমাজসচেতন হচ্ছেন তারা।মাদকবিরোধী,পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু ও দুর্যোগকালীন সময়ে করণীয়সহ নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করছে ক্লাবের সদস্যরা।

উপজেলা মহিলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ক্লাবে ০-১৮ বছর বয়সের শিশু ও কিশোর-কিশোরী নিয়ে গঠন করা হয়েছে ক্লাব।ক্লাবগুলো দেখাশোনা করার জন্য প্রতিটা ক্লাবে ২ জন কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর এবং ২ জন পিয়ার লিডার কাজ করছে।১১ থেকে ১৯ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীরা ক্লাবের সদস্য হয়ে শিখছে গান,কবিতা আবৃত্তি, জেন্ডার বিষয়সহ নানা বিষয়।এছাড়াও এপিসি প্রকল্পের আওতায় ক্লাবগুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নারী দিবস, শিশু দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলোতে কিশোর কিশোরীদের অংশগ্রহণে যথাযথ ভাবে পালন করা হচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন কিশোর-কিশোরী ক্লাবে ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটা ক্লাবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সরব উপস্থিতি।ক্লাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা মনোযোগসহকারে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করছে। ক্লাব দেখাশোনার জন্য নিয়োগকৃত কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটররা জানান শেখার খুব আগ্রহ এখানকার কিশোর-কিশোরীদের। 

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন,কিশোর-কিশোরী ক্লাব আরো বাড়ানো দরকার।এই ক্লাবের মাধ্যমে তারা জানতে পারছে ১০৯৮,১০৯এবং ৯৯৯ কল দিলে কী হয়। কী কী সরকারি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তাও জানতে পারছে তারা।পাশাপাশি সমাজে নানা অসংগতির ব্যাপারেও জ্ঞানার্জন করছে তারা। 

এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যাপক সাড়া ফেলেছে শান্তিগঞ্জের শিশু ও কিশোর-কিশোরী ক্লাব। নামমাত্র সম্মানিতে দায়িত্বশীল হলে কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটরগণ মহৎ কাজটি করে চলেছেন।তাছাড়া এসব ক্লাবে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।