নামের আগে ‘আওয়ামী’, পরে ‘লীগ’ শব্দটি থাকলেও ওলামা লীগের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক না থাকার কথা কয়েক বছর ধরেই জোরালভাবে বলে আসছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তবে সেই অবস্থান থেকে এখন সরে এসেছে ক্ষমতাসীনরা। ওলামা লীগের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নশনিবার ওলামা লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আপনারা (ওলামা লীগ) চাঁদাবাজি করে দুর্নাম কামাবেন না। এটা অতীতে ঘটেছে। অনেকে করেছে, আপনারা সবাই জানেন।’ এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রোগ্রাম করবেন, পয়সা না থাকলে আমাকে বলবেন। আমি নিজে নেত্রীকে বলব। নেত্রী আপনাদের সব কিছু পূরণ করবেন। ওলামা লীগকে শেখ হাসিনার পরীক্ষিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
ওলামা লীগ কি সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে- জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেটা নেত্রী ঠিক করবেন।’
ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওলামা লীগের প্রথম এই সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপও ছিলেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে গোলাপ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিয়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, প্রায় তিন দশক ধরে সক্রিয় ওলামা লীগ বরাবরই যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের মতো আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা চেয়ে আসছিল।
ওলামা লীগের বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আওয়ামী লীগ অস্বস্তি থেকে এত দিন সংগঠনটিকে স্বীকৃতি না দিয়ে দূরত্ব বজায় রাখছিল। কিন্তু এখন তাদের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের যোগ দেওয়া সংগঠনটিকে কাছে টানার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মন্তব্য