তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির এক দফার আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, তা দেখার বিবুধবার সচিবালয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি সংবাদপত্রে প্রতিফলন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি জানিয়েছে, তারা চট্টগ্রাম থেকে এক দফার আন্দোলন শুরু করবে- এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিন্তু চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। চট্টগ্রাম থেকে শুরু করা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এক দফার আন্দোলন তো তারা মাঝে মধ্যে ঘোষণা দেন, এক দফার আন্দোলন চট্টগ্রামে মারা যায় কিনা, সেটি দেখার বিষয়।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশিরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, আমরা তাদের এটি জানিয়েছি।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশকে বলা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় কারা যাবে সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে সেই নালিশ দিতে হবে জনগণের কাছে। সেই নালিশ বিদেশিদের কাছে নয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেখানে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বে থাকে। আমাদের দেশেও ঠিক একই ভাবে নির্বাচন হবে। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য। বিদেশিদের হাত-পায়ে না ধরার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের আরও কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আসছেন- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা আসছেন এবং আরও কয়েকজন আসবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতাসংক্রান্ত সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বিরাট ভূমিকা রাখছে। তাদের এই আগমনে আমরা স্বাগত জানাই। তাদের এই আগমন সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে।
বিদেশিরা ঘন ঘন আসছে। আওয়ামী লীগ চাপে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নেই। আমরা জানি কখন কি করতে হবে। সুতরাং আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে জনগণকেও বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছিল। তাদের এত প্রচারণা-আহ্বানের মধ্যেও সেখানে গড়ে ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপির অংশগ্রহণকে আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। বিএনপি যদি অংশগ্রহণ নাও করে আগামী নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।
মন্তব্য