তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের সাম্প্রতিক বক্তব্যে মনে হচ্ছে- আমরা যেন তাদেরকে সংলাপের জন্য ডেকেছি। তাদেরকে তো সংলাপের জন্য ডাকা হয়নি। মন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো সংলাপ করার সুযোগ নাই, কোনো সংলাপ হবেইশুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য- ‘নির্দলীয় সরকার দিলে সংলাপ’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এই বাস্তবতা বিএনপিকে মেনে নিতেই হবে।
তিনি বলেন, তাদের যে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের দাবি, সেটি দেশে যেমন সমর্থন পায়নি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তারা যাদের হাতে-পায়ে ধরে, নিয়মিত দেন-দরবার করে, তাদেরও কোনো সমর্থন পায়নি। সেই দাবি দেশেও মাঠে মারা গেছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই তাদের আগামী নির্বাচনে আসতে হবে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ প্রতিনিধির ৮ থেকে ২৩ জুলাই বাংলাদেশ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, এতে এটিই প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে। সেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ইইউ প্রতিনিধি দল আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো ও প্রস্তুতিমূলক নানা বিষয় তারা পর্যবেক্ষণ করবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবে তারা।
মন্তব্য