অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের একাধিক ইউনিট

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ (এমটিএফই)। এতে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষ। স্বল্পসময়ে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভের প্রলোভনে কানাডাভিত্তিক কোম্পানি এমটিএফই-তে বিনিয়োগ করেন তারা। গুগল প্লে-স্টোর থেকে এমটিএফই অ্যাপ নামিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে এ বিনিয়োগ করা হয়। গত ১৭ আগস্ট হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় কোম্পানিটি। এ অবস্থায় বাংলাদেশে ভুক্তভোগী লাখ লাখ মানুষের কথা চিন্তা করে ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশেঅর্থনৈতিক অপরাধের ঘটনাগুলো নিয়ে কাজ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার থেকে এমটিএফই’র প্রতারণা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে তারা ঘটনার আদ্যপান্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। অ্যাপসটির মাধ্যমে কীভাবে অর্থ লোপাট হলো, এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোন পর্যায়ের কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া শহরকেন্দ্রিক ও প্রান্তিক পর্যায়ের ভুক্তভোগীদের কীভাবে প্রলুব্ধ করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে তাও বের করার চেষ্টা করছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান (মিডিয়া) বলেন, এমটিএফই’র বিষয়টি সিআইডির নজরে এসেছে। ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড এমটিএফই নিয়ে কাজ শুরু করেছে। রোববার থেকে এ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

সিআইডিসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট নিশ্চিত করেছে তারা এমটিএফই’র প্রতারণার বিষয়ে অবগত হয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে তারা কিছু তথ্যও পেয়েছেন। তারা জানতে পেরেছেন, অ্যাকাউন্ট চালুর জন্য সর্বনিম্ন ২৬ ডলারের সমপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।

এই অ্যাপে বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে পাওয়া যাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার-এমন প্রলোভনেই গ্রাহক আকৃষ্ট করেছে কোম্পানিটি। বিনিয়োগ বাড়াতে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিয়োগ করা হয়। এই সিইওরা সারা দেশে টিম গঠন করে সেমিনারের আয়োজন করে সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করত। এসব অনুষ্ঠানেই অ্যাপ ইনস্টল করে অনেককে এমটিএফইতে যুক্ত করা হয়েছে। এটি অনেকটা এমএলএম পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হতো।র একাধিক ইউনিট।