নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপ নিয়ে আমরা কোনো চাপই অনুভব করি না। এটা গৌণ। আমাদের মুখ্য হলো, সংঘাত মুক্ত নির্বাচন করতে চাই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। আমি এলাকায় সরকারি গাড়ি চালাই না। মিডিয়ায় ৭৫ শতাংশ বিরোধী দলের খবর প্রচার করে। আমরা বিশ্বাস করি, এবার আমরা একটা আদর্শ নির্বাচন করপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, তাদের কোনো মতলব আছে। আরেকটি হচ্ছে, ভূ-কৌশলগত অবস্থানের জন্য। আমাদের ইলেকশন সুন্দর হোক না হোক এটা সেকেন্ডারি। তারা এমন সরকার চাইবে যেন তাদের গোলাম হয় এবং চীনের বিরুদ্ধে থাকে। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। এই অবস্থানে আমরা আছি। এটা অনেকে অপছন্দ করে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় কোনো সমস্যা হবে কিনা এ ব্যাপারে তিনি বলেন, না। আগেও তারা অনেক সময় জয়েন করেনি। এটা স্থিতিশীলতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। দুনিয়ার অনেক দেশে বড় বড় দল জয়েন করে না। বিভিন্ন দেশে এমন হয়। এটা বড় ইস্যু নয়। বড় ইস্যু হলো-স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। আমেরিকার কথা বলি, আমেরিকা ডকট্রিন অব রিয়ালিটিতে বিশ্বাস করে। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পক্ষে কাজ করেনি। আজকে কিসিঞ্জার সাহেব মারা গেছেন। তিনি ডেড এগেইনস্ট বাংলাদেশ। তিনি তার নিজের দেশের আইন, আন্তর্জাতিক আইন সব লঙ্ঘন করে পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়েছেন। এমন একদর্শী লোকও দুনিয়াতে আছে। কিন্তু জায়ান্ট মাস্ট ইন্টেলিজেন্ট ম্যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমেরিকা বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে। জাতিসংঘে ১৬ বারের ভোটে ১৫ বারই আমেরিকা বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তারা বাস্তবতায় বিশ্বাস করে। সুষ্ঠু নির্বাচন করলে তারা নিশ্চয়ই আমাদের সমর্থন করবে।
নির্বাচন যদি তাদের মানদণ্ডে না হয় সেক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থার আশঙ্কার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা খুবই বাস্তববাদী। তারা মূল্যায়ন করবে। তারা আহাম্মক নয়। তারা খুব স্মার্ট। তারা পরিপক্ব। তাদের বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আছে। আমরা তাদের শত্রু না। আমরা তাদের ভালো বন্ধু। মিডিয়া হইচই বেশি করে যাতে সরকারের সঙ্গে ঝামেলা হয়। আমরা বলেছি, মিডিয়ায় না গিয়ে আমাদের জানাবা। গুড নিউজ হলো, তারা এখন আমাদেরই আগে জানায় যেগুলো তাদের ইস্যু থাকে।
আব্দুল মোমেন বলেন, সরকারি কর্মচারীর মধ্যে যথেষ্ট আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। কিছু ব্যবসায়ীর মধ্যে করেছে। কিন্তু গ্রামগঞ্জের কর্মীরা এসব পাত্তা দেয় না। সবাই দেখছে, যারা অবরোধ করছে তাদের ওপর ভিসানীতি হয় কিনা। যদি তাদের ওপর প্রয়োগ না হয় তবে অন্যরাও পাত্তা দেবে না। বলবে এটা ভুয়া।
মিডিয়াকে বাধা দিলেও ভিসানীতির প্রয়োগ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা সিদ্ধান্ত নেবে আপনি কোনো দলের কিনা। সাধারণ জনগণ, যারা ভোটার, মাঠে-ময়দানে থাকে, ওরা ভিসা রেসট্র্রিকশন বোঝে না। ওরা আমেরিকায় যাওয়ার জন্যে এক পায়ে দাঁড়িয়ে নেই। সরকারি কর্মচারী যারা, আর যাদের ছেলেমেয়ে বিদেশ থাকে, আর যারা অনেকেই আমেরিকায় বাড়িঘর করেছেন, বেশিরভাগ দুর্নীতির কারণে, তাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক।
মন্তব্য