গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করলেন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্ট

ছবি সংগৃহীত

কংগ্রেসের শুনানির সময় ক্যাম্পাসে সংগঠিত ‘ইহুদি-বিদ্বেষ’ সম্পর্কে করা মন্তব্যের সূত্রে এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেছেন। মূলত ‘গণহত্যা’ সংক্রান্ত প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েন ওই শুনানিতে ‘ইহুদিদের গণহত্যার আহ্বান’ জানানো ছাত্রদের শাস্তি দেওয়া হবে কিনা তা বলতে রাজি হননি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ ম্যাগিল। অবশ্য পরে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এলিজাবেথ ম্যাগিল।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ম্যাগিল ‘স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন’। তবে দায়িত্বে নতুন কেউ না আসা পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন।

গত ৫ ডিসেম্বর যথাক্রমে হার্ভার্ড ও এমআইটির প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিন গে ও স্যালি কর্নব্লুথের সঙ্গে প্রতিনিধি পরিষদের কমিটির সামনে উপস্থিত হন ম্যাগিল।

এ সময় রিপাবলিকান নিউইয়র্ক কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইহুদিদের গণহত্যার জন্য আহ্বান জানানো বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কিনা? জবাবে ম্যাগিল এবং এমআইটি ও হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্টরা বলেছিলেন, এটি ‘প্রসঙ্গের’ ওপর নির্ভর করে। পরে ইহুদিদের গণহত্যার আহ্বানকে স্পষ্টভাবে নিন্দা না করার জন্য সমালোচিত হন তারা।

ইসরাইল-গাজা সংঘর্ষ ও ‘ইহুদিবিরোধী’ ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের মাঝেই এ কংগ্রেসনাল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির পর এক ভিডিও বিবৃতিতে সাক্ষ্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন ম্যাগিল। তবে তার পদত্যাগের আহ্বান অব্যাহত থাকে।

ম্যাগিল মন্তব্যের জন্য হোয়াইট হাউস থেকে সমালোচিত হন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম এক দাতা ১০ কোটি ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে নেন। তিনি বলেন, ম্যাগিলের মন্তব্যে ‘শঙ্কিত’ হয়েছিলেন।

গত ৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ইহুদি শিক্ষার্থী একটি মামলা করেন। তারা দাবি অনুসারে, ক্যাম্পাস ইহুদিবিদ্বেষ, হয়রানি ও বৈষম্যের সূতিকাগার হয়ে উঠেছে।

ম্যাগিলের পদত্যাগের বিষয়টি পেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান স্কট এল বক নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ম্যাগিল প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন, তবে পেন কেরি ল-এ একজন স্থায়ী ফ্যাকাল্টি সদস্য হিসেবে থাকবেন।

পদত্যাগের পর এক বিবৃতিতে ম্যাগিল বলেছেন, উল্লেখযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করা আমার সৌভাগ্যের বিষয়। পেনের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলো এগিয়ে নিতে অনুষদ, ছাত্র, কর্মী, সাবেক ছাত্র ও অন্যদের সঙ্গে অংশগ্রহণ ছিল সম্মানের।