বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন না। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এ আদেশ দেন। বিজয় মিছিলের পরপরই দুঃসংবাদটা শুনলেন সাদিক সমর্থকরা।
আদালতে সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অপরপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
গত ১৮ই ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন।বিজয় মিছিলের পরপরই দুঃসংবাদটা শুনলেন সাদিক সমর্থকরা। এর আগে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক। সোমবার বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।গত ১৫ই ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে এ রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। সোমবারের হাইকোর্টে সাদিকের প্রার্থীতা বহালের রায় ঘোষণার পর রাস্তায় নেমে আসে সাদিক সমর্থকরা। তারা ঈগল নিয়ে প্রচারণাও শুরু করেন। তবে বিকালে জানা যায় সাদিকের রায়ের কাগজপত্র না আসায় রিটার্নিং অফিসার তাকে কোনো প্রতীক বরাদ্দ করেনি। এদিকে আজ সারা দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের যে বিজয় র্যালী ছিল, বরিশালে প্রায় ১০ হাজার সমর্থক নিয়ে সাদিক সমর্থকরা র্যালি বের করে। র্যালিটি এক পর্যায়ে সাদিক সাদিক রবে প্রকম্পিত হয়। এর পরপরই ঢাকা থেকে সংবাদ আসে সাদিকের প্রার্থীতা স্থগিতের বিষয়টি।
মন্তব্য