প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রার্থীদের অভিযোগ একেবারেই নগণ্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে ভোটারদের আস্থা ফিরে আসবেশনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট জেলায় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ৩৫ প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় ও শিল্পকলা একাডেমিতে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিইসি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছে, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চাইলে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান সিইসি।
তিনি আরও বলেন, বারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হবে। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ হবে না। নির্বাচন যেকোনো মূল্যে নিরপেক্ষ হতেই হবে।নির্বাচনের দিন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কমানো হবে না। তবে কেউ ফেব্রিকেট তথ্য ছড়ালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে এদিন সিলেট সার্কিট হাউজে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সিলেটের ৬টি আসনের প্রার্থীদের সাথে বৈঠক করেন সিইসি। এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। পরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন।
এসময় নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহম ছিদ্দীকী ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিলেটের বিভিন্ন আসনে দলীয় ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক না হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও বলেন কয়েকজন প্রার্থী।
জেলার ৬টি আসনের প্রার্থীদের প্রায় সবাই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। তবে সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ও সিলেট-৪ আসনের প্রার্থী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সভায় উপস্থিত হননি। তাদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তাদের প্রতিনিধিরা।
এছাড়াও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান, পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান ও পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।।
মন্তব্য