সিলেট-২ আসনে সুবিধাজন অবস্থানে শফিক চৌধুরী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সিলেট-২ বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর আসনের সর্বত্র বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রতিটি গ্রাম থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা আর হাঠবাজারে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোটন প্রার্থনা করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। প্রর্থীদের ছবি সংবলিত পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে সর্বত্র।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন আ.লীগ, জাপা, গণফোরাম, তৃনমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, এনএনপি ও স্বতন্ত্রসহ সাত জন। তারা হচ্ছেন আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয়েছেন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, গণফোরাম মনোনীত উদীয়মান সূর্য প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী (এহিয়া), তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রব মল্লিক, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব প্রতীকের প্রার্থী মো. জহির, এনএনপি মনোনীত আম প্রতীকের প্রার্থী মনোয়ার হোসেন এবং স্বতন্ত্র থেকে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মেয়র মুহিবুর রহমান ।

তাদের মধ্যে শফিকুর রহমান চৌধুরী, মোকাব্বির খান, ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী (এহিয়া) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ চারজন রয়েছেন ভোটারদের কাছে পরিচিত মূখ। আর এই চারজন প্রার্থীর মধ্যে গণফোরাম মনোনীত উদীয়মান সূর্য প্রতীকের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী তারা দু’জনের সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল থাকায় ভোটের মাঠে পিছিয়ে রয়েছেন। তবে মেয়র মুহিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার নিজস্ব কিছু মনোনীত মানুষ থাকায় এদুই প্রার্থীর চেয়ে ভোটের মাঠে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। 

নির্বাচনী মাঠে এই চারজনকে নিয়ে হিসাব নিকাশ চললেও ভোটের মাঠে নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী রয়েছে অনেকটা সূবিধাজনক অবস্থানে। কারণ সরকার দলীয় প্রার্থী হওয়ায় তার রয়েছে বৃহত একটি সংগঠন। আর এই সগঠনের সকল নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার জন্য মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এক দিকে ১০বছর পর নৌকা প্রতীক পাওয়া অন্যদিকে ভাল মনের একজন প্রার্থী হিসেবেও শফিক চৌধুরী রয়েছেন অনেকটা এগিয়ে।