ক্রীড়াঙ্গনকে আলোকিত করেছে লুসাই পরিবার: রনজিত দাস

নন্দিত ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় সিলেটের কৃতি সন্তান ডনডন লুসাই স্মরণ সভায় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ রনজিত দাস বলেছেন, দেশব্যাপী সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনকে আলোকিত করেছে লুসাই পরিবার। ৬ ভাই-বোনের সকলেই ক্রীড়ার উন্নয়নে কাজ করছেন। একই পরিবারের তিন ভাই ডনডন লুসাই, জুম্মন লুসাই ও জৌবেল লুসাই জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। খেলেছেন হকির আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। মাঠে তাদের ক্রীড়া নৈপুণ্যে আলোকিত হয়েছে সিলেটের মুখ। সিলেটে ক্রীড়া উন্নয়নে এই পরিবারের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভা কক্ষে স্পোর্টস জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের আহবায়ক মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদরের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সাদিকুর রহমান সাকীর পরিচালনায় সভায় রনজিত দাস আরও বলেন, খেলার মান বাড়াতে হলে মাঠে সবসময় খেলা রাখতে হবে। টেবিলে বসে বৈঠক করে খেলার মান বাড়ানো যাবে না। মানুষ মরণশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। ক্রীড়াবিদদের মৃত্যুতে তাদের স্মরণে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা দুঃখজনক। শুধু ক্রীড়া সংস্থার নয়, এর দায় রয়েছে ক্লাব কর্মকর্তাদেরও। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা ক্রিকেট কমিটির আহবায়ক সুপ্রিয় চক্রবর্তি রঞ্জু, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহসভাপতি বিমলেন্দু দে নান্টু, প্রবীণ ক্রীড়াবিদ প্রবীর রঞ্জন ভানু, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, ফুটবল কোচ মাসুক মিয়া। ডনডন লুসাইয়ের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তাঁর ছোট বোন সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মারিয়ান চৌধুরী মাম্মী, ভাই চেম্পন লুসাই। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিফার সাবেক রেফারি ফয়জুল ইসলাম আরিজ, ইমজার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঞ্জু, সাংবাদিক মারুফ হাসান, মোস্তাফিজ রুমান, রুহিন হোসেন ও শহীদুল ইসলাম। ডনডন লুসাইয়ের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, সিলেট ছাড়াও হকিতে ঢাকার মাঠ কাঁপিয়েছেন ডনডন-জুম্মন লুসাইরা। খেলেছেন জাতীয় দলেও। ডনডনের খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন পুলিশের আইজিপি দলে। অনেক খেলোয়াড় জীবদ্দশায় স্থানীয় ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করলেও মরণের পর তাদেরকে সবাই ভুলে যায়। স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। প্রয়াত ক্রীড়াবিদের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।