নন্দিত সিলেট :: সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক সংস্কৃতিকর্মী উপস্থিতি ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সিলেটের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার ধারা অব্যাহত রেখে দীর্ঘদিন থেকে কাজ চলছে একযোগে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, হঠাৎ করেই সিলেটের এক শ্রেণীর সাংস্কৃতিক মোড়লদের অদৃশ্য ইঙ্গিতে পাল্টে যায় সিলেটের বিগত দিন থেকে চলতে আসা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য। শুরু হয় সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে বিভাজন। ধর্মাশ্রয়ী সর্বনাশা জামায়াতি চক্র এবং সাবেক জাসাসিদের হাতে ক্রমেই নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে সিলেটের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। মূলত : খোলস পাল্টিয়ে জামাতি চক্র আজ সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গণে অনেকটা বলিয়ান। ফলে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় নতুন প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির চিরন্তন সজিবতা। এর কারণ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল কর্মকর্তার জামাত-বিএনপি চক্রের যোগ-সাজসকে স্মারকলিপিতে দায়ি করা হয়।
স্মারকলিপিতে সংস্কৃতি কর্মীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির দুরাবস্থা তুলে ধরে বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর যাবত একাডেমির এডহক কমিটি অবৈধভাবে ঠিকে থাকায়, তার সুফল পাচ্ছেনা সংস্কৃতি কর্মীরা। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সিলেটের বিক্ষুব্ধ সংস্কৃতিকর্মীরা তিনদিনব্যাপী শহিদ মিনারে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি গ্রহন করে। ২০০৯ সালে প্রস্তাবিত ৩ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক নুমেরি জামান বলেন, অভিযোগটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। শীঘ্রই এ বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে তিনি উপস্থিত সংস্কৃতিকর্মীদের আশ্বস্থ করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সংস্কৃতিকর্মীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট কেন্দ্রিয় শহিদমিনার বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এনামুল মুনির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি জয়নাল আবেদিন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক গীতিকার ও শিল্পী জামাল আহমদ, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল করিম কিম, সংস্কৃতি কর্মীদের গণস্বাক্ষর কর্মসুচির উদ্যোক্তা দেবব্রত রায় দিপন, বাউল শিল্পী বিরহি কালা মিয়া, গীতিকার ও শিল্পী সিরাজ আনোয়ার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি শ্যামল কান্তি সোম, সাংগঠনিক সম্পাদক গীতিকার ও শিল্পী ডি কে জয়ন্ত, কবি ও সংগঠক দ্রুব গৌতম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, সিলেট জেলা সভাপতি বেলাল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক এইচ আর শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান খোকন, বাউল শিল্পী শাহারুল রেজা, বেতার শিল্পী সোমা নাগ, সমাজকর্মী দিপালি রায়, গীতিকার ফারুক আহমদ, সৈয়দ আব্দুল মোন্তাকিন, সৈয়দ লুৎফুর রহমান ও কবি অজয় বৈদ্য অন্তর।
মন্তব্য