নন্দিত সিলেট :: রাজধানীর ফুলবাড়ি টার্মিনালে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের রবিবার অনুষ্ঠিত সমাবেশে নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচার কেন্দ্রীয় ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিভিন্ন টার্মিনালে অবাঞ্চিত ঘোষনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিসচা সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সড়ককে দুর্ঘটনামুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সারাদেশে নিসচার প্রায় ১২০টি শাখা সংগঠন ও বিদেশে প্রায় ৫টি শাখা সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা একযোগে ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক দুর্ঘটনারোধ করার লক্ষ্যে ১৭ টি নির্দেশনা দিয়েছেন। নিসচা সেই ১৭টি নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ১৭টি নির্দেশনা বাস্তবায়ন সহ সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে ও ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সভায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন নিজ গাড়িতে দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে মারা যান। কথাটি সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সত্য হল এই যে, ঐদিন জাহানারা কাঞ্চন ভাড়া করা একটি গাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে এসব মিথ্যা ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং অনতিবিলম্বে ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্চিত ঘোষণার বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও আজীবন সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম মিশু, নিসচা সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি রোটা. এম. ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি ইমানুর রশিদ চৌধুরী, জেলার সভাপতি এম. বাবর লস্কর, সহ সভাপতি হাফিজ আব্দুর রহমান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী পাভেল, জেলার সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. লোকমান আলী, মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, জেলার যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খান, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।
মন্তব্য