নন্দিত ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া এবং মিথ্যে মামলা দিয়ে তাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। সরকারদলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রশাসন ন্যাক্কারজনক ভূমিকা পালন করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ফয়সল চৌধুরী এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় একাধিক কর্মসূচি থাকলেও পুলিশের বাঁধায় তিনি কোনো কর্মসূচিতেই অংশ নিতে না পেরে বিবৃতি দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে বাধ্য হয়েছেন।
বিবৃতিতে ফয়সল চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্যে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর বিভিন্ন সময়ে বার বার আবেদন নিবেদন করলেও কোনো লাভ হয়নি। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর আমাকে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামি করার বিষয়ে আগাম সংশয় জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করি, কিন্তু জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটাও আমলে না নেয়ায় মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) গোলাপগঞ্জ এলাকায় সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘটনায় আমাকে সহ শত শত নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ থেকে আজ এটা স্পষ্ট যে, সরকার আর তার প্রশাসন নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তরিক নয়।’
বুধবার গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর শেষ নির্বাচনী সভা করতে না দেয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ককটেল হামলা চালালেও পুলিশ তাদের আটক করে না। উল্টো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর নেতৃত্বে পুলিশ যে কায়দায় গুলি ছুড়ে তাতে হানাদার বাহিনীকে স্মরণ করিয়ে দেয়। অথচ এই পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্যে আমি গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। একই থানায় মন্ত্রীর বদান্যতায় বছরের পর বছর দায়িত্বে থাকার অবৈধ সুযোগ পাওয়ার কারণে আজ মন্ত্রীর সেবাদাসের ভূমিকা পালন করে চলেছেন ওসি।
তিনি মঙ্গলবার হেতিমগঞ্জে সংঘটিত অপ্রীতিকর ও অনভিপ্রেত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে বলেন, ঘটনার সাথে আমার বা বিএনপি দলীয় বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর কোন নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও স্থানীয় প্রশাসন ওই ঘটনায় আমিসহ শত শত নেতাকর্মীকে মামলায় জড়িয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে সরকারের মন্ত্রীর বিজয় নিশ্চিত করতে চাইছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই স্থানীয় মানুষকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবে না। আমাকেও যদি গ্রেফতার করা হয় তবুও স্থানীয় জনসাধারন নির্বাচনের দিন শুধু ভোট দেবে না, সারা দিন ভোট ডাকাতি রোধে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাহারা দিবে।
মন্তব্য