নন্দিত ডেস্ক: সিলেটের গোপালটিলায় মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ঐতিহ্যবাহী গোপালটিলার শ্রীশ্রী গোপালজিউর দেবতার সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সিলেটের সর্বস্তরের জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা দেবোত্তর সম্পত্তি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
গোপালটিলা দেবোত্তর সম্পত্তি প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাকে আজ মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নগরীর ঐতিহ্যবাহী গোপালটিলার শ্রী শ্রী গোপালজিউর আখড়ার প্রায় আড়াই শ’ বছরের প্রাচীন এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও তার সম্পত্তি রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। ঐতিহ্যবাহী মুরারী চাঁদ কলেজের পাশে অবস্থিত এই প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের প্রাকৃতিক পরিবেশ সিলেটের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই স্থানে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে দালান নির্মাণ করে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা যারা দেখাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতকারীগণদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সিলেটের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বক্তারা মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে তিনদিনের মধ্যে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে পরবর্তী বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করার ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী ধর্মীয় সম্পত্তি আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, শিক্ষাবিদ বিরাজ মাধব চক্রবর্তী মানস, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রধান ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, সাংবাদিক আল-আজাদ, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড সিকন্দর আলী, বাসদ মার্কসবাদী সিলেট জেলা কমিটির আহ্বায়ক উজ্জল রায়, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সংক্ষিপ্ত নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুল করিম কিম, খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডিকন নিঝুম সাংমা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জন ঘোষ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এ জেড রওশন জেবিন রুবা, পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট নিরঞ্জন কুমার দে, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের দানেশ সাংমা, সিলেট বিবেকের সভাপতি এডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত দেব, অধ্যাপক রঞ্জিত মোহন্ত, মহানগর পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি সুদীপ পুরকায়স্থ, মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নির্মল সিনহা, আইনজীবী এডভোকেট খোকন কুমার দত্ত, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মলয় পুরকায়স্থ, কৃপেশ পাল, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি নিলেন্দু দে অনুপ, মহালয়া উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জি ডি রুমু, মহানগর পূজা পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক এপেক্সিয়ান চন্দন দাস, মনোজ দত্ত মুন্না, জেলা পুজা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈলেন কর, দক্ষিণ সুরমা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নন্দন পাল, দক্ষিণ সুরমা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিরুপম চক্রবর্তী শুভ, বিশ্বনাথ ঐক্য পরিষদের সভাপতি মানিক লাল দে, ওসমানীনগর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডি কে জয়ন্ত, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র দাস ভক্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক রকি দেব, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ধনেশ দেব, বিজয় কুমার ধর, উত্তম ঘোষ, শামলু চৌধুরী, শিমুল চক্রবর্তী, বিশলয় দাস, ভৈরব দেবনাথ, উজ্জল চন্দ্র চন্দ ও শংকর দাস শঙ্কু।
মন্তব্য