নন্দিত সিলেট :: সাত দফা দাবিতে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট বিভাগের পরিবহন শ্রমিকরা। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মবিরতি পালনের এই ঘোষণা দেন। তবে কর্মবিরতি চলাকালে সড়কে কোনো পিকেটিং হবে না এবং অ্যাম্বুল্যান্স ও প্রাইভেট গাড়ি কর্মবিরতির আওতার বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সজিব আলী তাদের সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকারের প্রণিত ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর কিছু ধারা পরিবহন সেক্টরের সাথে সম্পৃক্তদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আইনের এসব ধারা সংশোধনের দাবিতে সারা দেশের শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। এরপরেও বিদ্যমান শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমূহ সংস্কারের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে তারা সাত দফা দাবি জানিয়ে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা সিলেটে কর্মবিরতি পালন করবেন।’
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- শেরপুরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার ধারা ৩০২ এর স্থলে ৩০৪ করতে হবে, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১০৫ ধারায় জরিমানা পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার করতে হবে, এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুইজিশন করা যাবে না, সড়ক মহাসড়কে চেকিং এর নামে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে পুলিশি হয়রানি, কথায় কথায় পুলিশ কর্তৃক রং পার্কিং-এর নামে হয়রানি, রেকারিং-এর নামে পুলিশের চাঁদাবাজি ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করতে হবে।
বক্তব্যে তিনি কর্মসূচি সফলে সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের জন্য সিলেট বিভাগের পরিবহন শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘কর্মবিরতিতে সড়কের কোথাও কোনো পিকেটিং হবে না। শ্রমিকরা নিজ থেকেই গাড়ি নিয়ে সড়কে নামবেন না। এছাড়া অ্যাম্বুল্যান্স ও প্রাইভেট গাড়ি কর্মবিরতির আওতার বাইরে থাকবে। তবে কোথাও পিকেটিংয়ের ঘটনা ঘটলে তাদের জানানোর অনুরোধও করেছেন নেতৃবৃন্দ।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিকসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য