নন্দিত সিলেট:সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের কল্যাণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে মন্তব্য সিলেট জেলা বিএনপির। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘দেশজুড়ে ভয়াবহ বন্যার পদধ্বনি। সিলেট বিভাগের সবকটি জেলা এবং উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর আসছে। কিন্তু দুর্নীতি আর লুটপাটে ব্যস্ত ফ্যাসিস্ট সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের কল্যাণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। উন্নয়নের জোয়ার মানুষ না দেখলেও, বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে গ্রামের পাশাপাশি শহর তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য মানুষ দেখছে। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও তাদের কোন তৎপরতা চোখে পড়ছেনা।’
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের পক্ষে জেলা বিএনপির সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম প্রেরিত বিবৃতিতে অবিলম্বে বন্যাদুর্গতদের কল্যাণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সারাদেশ এখন পানিতে ভাসছে। সিলেট বিভাগের সিলেট জেলা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যা বিস্তৃত হয়ে সিলেটের জেলা ও উপজেলা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ১০ দিনেরও বেশী সময় ধরে দেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে।
বিবৃতে আরো বলা হয়, একদিকে, বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে, গবাদি পশু ও ক্ষেতের ফসল ভেসে গেছে। অন্যদিকে, লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে হাহাকার করছে। ত্রাণের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও সাহায্য পাচ্ছে না বন্যা কবলিত মানুষেরা। প্রধানমন্ত্রী তাদের দলীয় সভায় বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেও এখনও পর্যন্ত সরকারী ত্রাণ তৎপরতার কোন নেয়া হয়নি। ফলে মানুষের দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যাদুর্গত মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও ত্রাণ তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা। একই সাথে সাধ্যমত বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য