বাংলাদেশ পুলিশের অবদান

এমরান ফয়ছল :ওরা বাংলার পুলিশ, বাংলার অহংকার বাংলা মায়ের গর্বিত কৃতীসন্তান ২৫শে মার্চের কালো-রাত্রে অতর্কিত হামলা রোধকল্পে নিয়েছিল শক্ত অবস্থান। ২৫শে মার্চ কালো-রাত্রে পাক হানাদার বাহিনী নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালাল নিরস্ত্র মানুষের আর্তনাদ হাহাকারে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হল। চারিধারে মনুষ্য নিথর দেহ পড়ে আছে রক্তের বন্যা হয়েছিল রক্ত প্রবাহে। মায়ের রক্তাক্ত লাশের উপর দুগ্ধের তৃষ্ণায় চিৎকার করে শিশু পেটের দাবদাহে। পাক হায়নার দল অবুঝ শিশুর সেই ক্রন্দন সহ্য করতে পারল না, বেয়-নেট বের করে বুকের মধ্যেকার বিষাক্ত আঘাতে দিল মৃত্যুর যন্ত্রণা। প্রকম্পিত বাংলাবাসী তাদের ঘৃ্ন্য বর্বরতায় মানবতাহীন গণ-হত্যার দৃশ্য দেখে, ছোট্ট শিশুর কলিজা-টুকরা ও কিছু রক্তকণা তখনও রয়েছে বেয়-নেটে লেগে। কে করবে এর প্রতিঘাত? রক্তের বদলা কে নেবে? কে নেবে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ? রাজারবাগের পুলিশ তখন অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে প্রাণপণে গড়েছিল প্রতিরোধ। সর্বপ্রথম তাদের প্রতিরোধে কেঁপে উঠেছিল হায়নার শিবির, হয়েছিল প্রতিহত, সম্মুখ যুদ্ধে কত পুলিশের প্রাণ গেল রক্তাক্ত হল তবুও তারা করেনি মাথা নত। শহিদ হয়েছে রক্ত দিয়েছে তবুও সমুন্নত রেখেছে মাতৃভূমির সম্মান। তাদের এ আত্মাহুতির মহিমা থাকবে চিরদিন এই বাংলার মাটিতে অম্লান। ওরা বীর বাঙ্গালির বংশধর নেই কোন ভয় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায়, মৃত্যুকে করে জয়, ওরা যুগযুগ ধরে বাংলার মাটিতে পূর্ণ মহিমায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিকৃত হয়ে রয়। বাংলার পুলিশ থাকবে যুগযুগান্তর ধরে দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার হাতিয়ার। মৃত্যু যদি আসে নিশ্চিত তবুও তারা পেছন ফেরে না, ভয় করেনা কভু মরার। মিছিল-মিটিং কিংবা জন সমাবেশ হলে দলমত নির্বিশেষে ব্যস্ত নিরাপত্তার কাজে। ওরা পুলিশ বলে জীবন বাঁজি রেখে এ যুগে এসে দেখি রোবটও তারা সাঁজে। সবাই যখন নিশ্চিন্তে ঘুমায় মায়ের আচল ধরে পুলিশ তখন পাহারায় থাকে জেগে চব্বিশ ঘন্টা ডিউটি করে কত যে কষ্ট করে তবুও কাউকে বলে না কথা রেগে। সহনশীলতার মূর্ত প্রতীক ধৈর্য অপরিসীম তাদের ত্যাগের মহিমা সীমাহীন। ওরা বুদ্ধিমান, অনুগত, দক্ষ ও সাহসী সৈনিক ওদের সেবার কৌশলও তুলনাবিহীন। মানুষ আমরা ছুটি পাই, রাতে ভাল ঘুম হয়, নির্ভয়ে থাকি, এ সব কার অবদান? বিনিদ্র রজনী যাপন করে যারা দিয়ে যায় শ্রম মোদের সেবায় নিয়োজিত তারাই মহান। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে অদ্যবদি যত দ্বন্দ্ব-সংঘাত, বিশৃঙ্খলা কিংবা আন্দোলন, বাংলার পুলিশ নিজের রক্ত দিয়ে করেছে সব দ্বন্দ্ব-সংঘাত কিংবা বিশৃংঙ্খলা নিবারণ।