তাহিরপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক নাজু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্য রাতে ধর্ষক নাজু মিয়াকে তাহিরপুর সদরের তার মামার বাড়ী থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এদিকে ধর্ষিত শিশুটিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাহিরপুর সদর হাসপতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এতিম কিশোরী এখন আশংকা মুক্ত, তার চিকিৎসা চলছে। বুধবার সন্ধ্যায় এতিম কিশোরীর মা বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে তাহিরপুর থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের নালের বন্ধ গ্রামের আলি নূরের বখাটে ছেলে ধর্ষক নাজু তার ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ফোন করে এতিম কিশোরীকে ঘরের বাহিরে নিয়ে আসে। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষকের বাড়ির সামনে ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষন করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। কিছুক্ষন পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে ধর্ষক নাজু মিয়ার পিতা ও মাকে বিষয়টি জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আবার এতিম কিশোরকে মারপিট করে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। রবিবার মধ্য রাত থেকে এতিম কিশোরী অজ্ঞান অবস্থায় সারাদিন ধান ক্ষেতে পড়ে থাকার পর সোমবার সকালে গ্রামবাসী পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাহিরপুর থানার এস আই সাইফুর রহমান ও এস আই আমির হোসেন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে এতিম কিশোরীকে ধান ক্ষেত থেকে কাদা মাখা অবস্থায় উদ্ধার করে ভিকটিমের মার কাছে রেখে থানায় চলে যান। পরে গ্রামবাসী এতিম কিশোরীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে স্থানীয় বাজার ও গ্রাম থেকে সাহায্য তুলে মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই ধর্ষকের প্রভাবশালী পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করে এবং এতিম কিশোরীর দরিদ্র মাকে মামলা না কারার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে।
ভিকটিমের মা বলেন, ধর্ষক নাজু সবসময় তার মেয়েকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিতো। তিনি প্রশাসনের কাছে ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান বলেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ^স দিয়ে এতিম কিশোরীকে নাজু মিয়া ধান ক্ষেতে ধর্ষন করেছে। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য