ছাতকে বালু উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন নিয়ে বালু শ্রমিকদের সাথে ড্রেজার শ্রমিকদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পিয়ান নদীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত শাহিন মিয়া ও সমুজ আলীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বালু শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য নদী থেকে বালু লোডিং-আনলোডিং বন্ধের ঘোষণার পর দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিনভর ছাতক বালু ব্যবসায়ী সমিতি ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ বালু ব্যবাসীয় সিমিতির পক্ষ থেকে ড্রেজার (বালু উত্তোলনকারী যান্ত্রিক মেশিন) দিয়ে বালু উত্তোলন না করতে নদীতে মাইকিং করা হয়। রবিবার সকালে বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকরা ড্রেজার চালানো বন্ধ করা নিয়ে ড্রেজার মেশিন পরিচালনাকারীদের বাগবিতণ্ডার জের ধরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাথর-ইটের আঘাতে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহত কমর আলী, মো. আলী, খলিলুর রহমান, আব্দুর রহমান, আনোয়ার,হোসেন, কলিম উদ্দিন, কয়েছ মিয়া, দুলাল মিয়া, আব্দুল হামিদ, একরাম মিয়া, লোকমান হোসেন, বাতি মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ প্রমুখদের ছাতক উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বালু ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, কোম্পানীগঞ্জে ড্রেজার চালানোর অনুমতি আছে বলেই সুনামগঞ্জ থেকে আমরা ড্রেজার ভাড়ায় এনেছি। কিন্তু বালু সমিতির ওরা অতিরঞ্জিতভাবে হয়রানি শুরু করায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। এতে আমাদের ৪ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। ছাতক বালু ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সত্তার বলেন, চেলা ও পিয়ান নদীতে ড্রেজার মেশিন বন্ধে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে একাধিক আবেদন করা হলেও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।