দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::ঈদের বাজার বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে পরিচিত দৃশ্য। মার্কেটগুলোতে নারী পুরুষের ভীড়, দরদাম, দোকানের কর্মচারীদের নাভিশ্বাস উঠার অবস্থা। তার এখনো জমে উঠেনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা বাজারের পরিচিত সমস্ত মার্কেটগুলোতে। বরং এক ধরনের শান্ত নিরিবিলি ভাব।
সরেজমিন ঘুরে কেন এমন অবস্থা জানতে চাইলে আব্দুল মতিন মার্কেটের আইয়্যান ফ্যাশনে এর স্বত্বাধিকারী শাহিন রহমান- বলেন, গত বছর যদিও মানুষ ধান পায়নি কিন্ত ঈদের বাজার ভাল ছিল। এছাড়া এ বছর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকার পর ও জমে উঠেনি ঈদের বাজার।
শাহিন রহমান আরো বলেন- অন্য সময়ের তুলনায় বেচাকেনা বাড়লেও এটাকে ঈদের বাজার বলা যায় না। তবে আগামী মঙ্গলবার থেকে বেচা কেনা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
অনেকটা একই কথার পুণরাবৃত্তি করলেন আব্দুল মতিন মার্কেটের আনন্দ গার্মেন্টস এর পরিচালক শাহ আলম- তিনি বলেন, বেচা কেনা অন্য সময়ের চেয়ে ভালো। তবে ঈদের আমেজ নিয়ে এখনো বেচা কেনা শুরু হয়নি। সামনের আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে জমে উঠতে পারে। গত বছর এমন সময়ে বেচা কেনা কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর আরেকটু ভালো ছিল। তবে মাসের মাঝামাঝির দিকে রোজা শুরু হওয়ায় মানুষ এখনো মার্কেট মুখী হচ্ছেনা।
মতিয়া সুপার মার্কেটের সূবর্না বস্ত্রালয় এর স্বত্বাধিকারী হাজী আব্দুল শাফিক মিয়া বলেন- রোজা রেখে মানুষের মার্কেট করার এনার্জী থাকে না। সাধারণত রোজার আগে বেচা কেনা যা থাকে রোজা শুরু হওয়ার পর পনেরো থেকে বিশ রোজা পর্যন্ত তাও থাকেনা। কিন্ত আশাবাদী প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন- প্রচণ্ড রৌদ্রের কারণে বেচা কেনা কম কি না এমন প্রশ্নের জবাবে একমত হলেন। প্রচন্ড রৌদ্র এখানে বেচা কেনায় প্রভাব ফেলে। তবে এখনো মানুষ ঈদের আমেজ নিয়ে মার্কেট করতে বের হয়নি।
হাজী আবদুল হেকিম মার্কেটের হাই চয়েজ গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী আখতার হোসেন জানান- এ বছর পোশাকের দাম একটু বেশি এবং অনেক ক্রেতারা দাম বেশি থাকার কারনে চাহিদা অনুযায়ী পোশাক কিনতে অনাগ্রহী।
ক্রেতা আব্দুল জলিল জানান- ই বছর ধানের দাম কম থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে টেকা পয়সা পাইরাম না, আর পরিবারের সবের লাগি সাধ্যমতো কিনতে ফাররাম না ।
মন্তব্য