দক্ষিণ সুনামগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার লাঞ্চিতের অভিযোগ

এন এ নাহিদ- দক্ষিণ সুনামগঞ্জ : দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের বুড়ুমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার থানায় লাঞ্চিতের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী শেফা বেগম(২৬)বুড়ুমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।অভিযোক্তরা একই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আদর আলী অরফে সোহাগ, সোহাগ আহমেদের স্ত্রী মোছা:ফাতেমা বেগম, লালমিয়ার ছেলে হায়দার আলী মিয়া, মৃত কনাই মিয়ার ছেলে খালিক মিয়া এবং খালিক মিয়ার ছেলে সিতাব আলী। জানা যায়- বিবাদকারীরা পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে এই স্কুল শিক্ষিকাকে বিগত ৩ মাস ধরে লাঞ্চিত করে আসছে। শিক্ষিকা শেফা বেগম বলেন- বিবাদী আদর আলী আমাকে বিগত কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে রাস্থাঘাটে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিগত প্রায় ৬ মাস পূর্বে আমার পিতা ১নং বিবাদীর কাছ থেকে ৪০,০০০ টাকা ধার নেন এবং কিছুদিন পর আমার বাবা টাকা পরিশোধ করে দেন। কিছু টাকা বাকি থাকায় কয়েক দিনের মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও বিবাদীরা আমাকে রাস্থাঘাটে টাকা দেয়ার জন্য বিভিন্ন খারাপ কথা বলে। আমি টাকা দেয়ার কথা বললেও কোন কাজ হয়নি। আমাকে নিয়মিত অশ্লীলতাহানীর ভয়ভীতি দেখায় ও এর ভয়ে আমি নিয়মিত স্কুলে যেতে পারিনা। তিনি আরোও বলেন-গত ১৮/৭/২০১৮ তারিখ বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকায় স্কুল এসে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধভাবে মিলে বুড়ুমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। এক পর্যায়ে বিবাদী আদর আলী অরফে সোহাগ তার হাতে থাকা বাশ দিয়ে আমাকে মারার জন্য এগিয়ে আসে এবং আমার কাপরের মধ্যে আঘাত দিয়ে আমাকে নিলাফুলা জখম করে। এক কথায় আমার সাথে যা হয়েছে তা মুখে বলার মত না। বিবাদীরা এলাকার প্রভাবশালী ও বিত্তবান বলে কেউ কিছু বলেনা ও আমাকে লাঞ্চিত করার কথা আমি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সবাইকে অবহিত করে কোন পথ না পেয়ে আইনের সম্মুখীন হয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি। একজন শিক্ষিকা হিসেবে এর দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির জোর আবেদন জানাচ্ছি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ারউদ্দিন চৌধুরী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।