তাহিরপুরে অভাবের তাড়নায় মায়ের আত্মহত্যা

নন্দিত ডেস্ক: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অভাবের তাড়না সইতে না পেরে রিনা বেগম (৪৫) নামের এক বিধবা মা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় পুলিশ ওই বিধবার লাশ উদ্ধার করেছে। রিনা বেগম উপজেলার বড়দল (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের মৃত মদরিছ মিয়ার স্ত্রী। জানা গেছে, উপজেলার কামারকান্দি গ্রামের এক সন্তানের জননী রিনা বেগম রোববার দিনর কোনো এক সময় বসতঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে বাড়ি থেকে কৃষিকাজের উদ্দেশে বের হয়ে যাওয়া একমাত্র ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে (২৮) প্রতিবেশীরা দুপুরের দিকে সংবাদ দিলে তিনি বাড়িতে এসে মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে রিনা বেগমের স্বামী মদরিছ মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ঘরে একমাত্র বিবাহযোগ্য ছেলে থাকার পরও অভাব অনটেনের কারণে ছেলেকে বিয়ে করাতে পারছিলেন না। এমনকি কৃষি শ্রমিক ছেলের অনিয়মিত অল্প আয়-রোজগারে ঠিকমত মা ছেলের প্রায়ই দুবেলা খাবারও জুটত না। এ কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে রিনা বেগম গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের ছেলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‌‌‌সকালে মায়ের সঙ্গে নাস্তা করে আমি কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বের হই, এরপর দুপুরে প্রতিবেশীরা মায়ের মৃত্যুর খবর দেন। অভাব তো আমাদের নিত্য সঙ্গী, তারপরও মা ছিলেন আমার ভরসার জায়গা। তিনি অভাবের তাড়না সইতে না পেরে আমায় একা ফেলে চলেই গেলেন। তাহিরপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই নারী অভাবের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন।