শাহীনুর পাশার জামিন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনের ২০ দলীয় জোট প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ২য় আদালতে হাজির হয়ে শাহিনুর পাশা জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দীকি তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করেন। শাহীনুর পাশা চৌধুরী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব। মামলাটি কোতোয়ালি থানায় দায়ের করেছিলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী । আদালত সূত্র জানায়, শাহিনুর পাশা চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা করে আবাসন ব্যবসার নামে ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর শাহীনুর পাশাকে গ্রেফতারে সিলেট কোতোয়ালি ও তার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী ঢাকার বনানীর বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী তালুকদার মামলার বাদী হয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর আদালতে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন। অভিযোগে জানা গেছে, ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী শাহীনুর পাশার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পরিচয় হয় বাদীর। তিনি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে তার ‘মাতৃভূমি হাউজিং ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’ কোম্পানির আবাসন প্রকল্প দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করান এবং বাদীকে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব দেন। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর থেকে কয়েক দফায় ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। আর শাহীনুর পাশা বাদীর অজ্ঞাতসারে প্রকল্পটি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে বার বার যোগাযোগ করা হলেও টাকা দেননি পাশা। এ বছরে টাকা পরিশোধের জন্য ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেন। ওই ব্যাংকের পৃথক আরও তিনটি চেকসহ মোট ২০ লাখ টাকার চেক দিলেও টাকা উত্তোলনে ঢাকাস্থ গুলশান শাখার ব্র্যাক ব্যাংকে চেক জমা দিলে ডিজঅনার হয়। অথচ গত ২২ অক্টোবর শাহীনুর পাশা তার পরিচিত এই মামলার সাক্ষীর উপস্থিতিতে পাওনা টাকার কথা অস্বীকার করেন। এ কারণে তিনি মামলা দায়ের করেছেন।