দিরাই প্রতিনিধি :দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে ১৯৭১ সালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলার এজাহারভুক্ত আব্দুল রশিদ (৭০) নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃত উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ও শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর বাজার সংলগ্ন আটগাঁও গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দিরাই থানায় নিয়ে আসে
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে দিরাই থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, আব্দুর রশিদ মানবতাবিরোধী মামলার পলাতক আসামী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সনে দিরাই-শাল্লা উপজেলার মিলনস্থল শ্যামারচর এলাকায় দালাল আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে একটি বিশাল রাজাকার বাহিনী গড়ে ওঠেছিল। তারা হাওরাঞ্চলে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারী-নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। ১৯৭১ সনের ৬ ডিসেম্বর সংঘবদ্ধ রাজাকার দল পেরুয়া, শ্যামারচর এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতনসহ এলাকায় অন্তত ৪০ জনকে হত্যা করেছিল।
পুলিশ আরো জানায়, কয়েকটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ওইদিন মুক্তিযোদ্ধা রজনী দাসের বাবা আখালি দাস, মামা কালিচরণ দাস ও তার মেসো কুঞ্জলাল দাসকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে পেরুয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রজনী দাস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। ট্রাইব্যুনাল তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে একাধিকবার তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে। এ মামলায় গত মাসে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলেও জানায় পুলিশ।
মন্তব্য