ঈদকে টার্গেট করে তাহিরপুরে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ঈদকে সামনে রেখে সম্প্রতি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু করছে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগেই সরকারী খাদ্যগুদামে সরকারি ন্যায মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারায় হাওর বেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলার পাড়ের কৃষকদের আনন্দের সীমা নেই। পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এমন অবস্থায় ধানের বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি মন ধান ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা । কিন্তু সরকারিভাবে তাহিরপুর খাদ্য গুদাম কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪০ টাকা টাকা দরে প্রতি মন ধান কিনে নিচ্ছে। সরকারি ভাবে প্রতিমন ধান ১০৪০ টাকা দরে খাদ্যগুদামে বিক্রি করতে পারায় প্রতি মন ধানে কৃষক ৪০০ টাকা বেশি মুনাফা পাচ্ছেন কৃষক। সরকারী হিসেব মতে ১ জন কৃষক খাদ্য গুদামে বিক্র করতে পরবেন ১টন ধান। যেখানে ১ টান ধান বাজারে বিক্রি করলে একজন কৃষক পেতেন ১৭ হাজার ৫ শত ৫০ টাকা। কিন্তু সরকারিভাবে খ্যাগুদামে ধান বিকি করতে পারায় প্রতি টন ধানে কৃষকরা বাজার মূল্য পাচ্ছেন ২৬ হাজার টাকা। যারফলে বাজার মূল্য থেকে একজন কৃষক পাচ্ছেন ৮ হাজার ৪ শত ৫০ টাকা বেশি। উপজেলা খাদ্য গুদাম সুত্রে জানা যায়, সরকার এ বছর তাহিরপুর উপজেলায় ১ম ধাপে ৫৩১টন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে কৃষকদের কাছ থেকে ৪৮০ টন ধান সংগ্রহ করেছেন খাদ্যগুদামের কর্মকর্তারা। সেই সাথে ২য় ধাপের বরাদ্দ থেকেও কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছেন তারা। শনিবার সকালে উপজেলা খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কৃষকরা শত শত মণ ধান নিয়ে বিক্রি করার জন্য আসছেন খাদ্যগুদামে। এসব ধান মণ হিসেবে খাদ্যগুদামে নগদ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন কৃষকরা। উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিকখিলা গ্রামের কৃষক ইউনুস মিয়া এ বিষয়ে বলেন, ঈদের আগে গোদামে ধান বিক্রি করতে পেরে তাদের খুব ভাল লাগছে। ধান বিক্রির টাকা দিয়ে এবারের ঈদে পরিবারের সবার জন্য নতুন জামা কাপড় কিনতে পারবেন। শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশাদ আলী জানান, ঈদের আগে ধান বিক্রি করে টাকা হাতে পেয়ে অনেক উপকারে এসেছে। বালিজুরি ইউনিয়নের পুরান বারুঙ্কা গ্রামের নজির মিয়া জানান, বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি মণ ৬৫০ টাকা হলেও সরকার প্রতি মণ ১০৪০ টাকা মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে নিচ্ছেন। তাহিরপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকতা মনধন চন্দ্র দাস বলেন, হাওরপাড়ের কৃষকদের দাবি ছিল ঈদের আগেই খাদ্য গোদামে ধান বিক্রি করবে। তারা এ লক্ষ্যেই প্রতিদিন কৃষক-কৃষানীর কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করেছেন। আশা করছেন, ঈদের আগেই তারা বেশিরভাগ ধান সংগ্রহ করে ফেলবেন।