ঋণের টাকা নিয়ে ঝগড়া থেকে ওসমানীনগরে মা-ছেলেকে হত্যা

নন্দিত সিলেট : সিলেটের ওসমানীনগরে দিপু মালাকার (৩৬) ও তার শিশুপুত্র বিকাশ মালাকার (৮) হত্যার ১০ দিনের মাথায় তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- উপজেলার গেয়ালাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহ নজরুল ইসলাম (২৭) একই গ্রামের মৃত আব্দুর কালামের ছেলে জয়নাল মিয়া (২৯) ও পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির গলমুকাপন গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে জকরুল মিয়া(২২)। এদিকে, মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। ঋণের টাকা পরিশোধের বিষয় নিয়ে দিপু মালাকারের সাথে রিয়াজের ঝগড়ার প্রতিশোধ নিতেই মা ও ছেলে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তিতে তারা জানিয়েছে। পাশাপাশি ওই মহিলাকে হত্যার পূর্বে ধর্ষণ করেছে বলেও তারা উল্লেখ করেছে। স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা বলেন, নিহত দিপু মালাকারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সখ্য ছিল ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার কালিজুরি রশিদ চেয়ারম্যানের বাড়ি গ্রামের আবুল ওরফে হাবুল মিয়ার ছেলে রিয়াজ মিয়ার (১৮)। রিয়াজ সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের লেবু মিয়ার ভাড়াটিয়া। সখ্যতার একপর্যায়ে ২০১৬ সালে এনজিও আশা থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ তোলে একটি রিকশা কিনে রিয়াজকে দেন দিপু মালাকার। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক মাস আগে ঋণের টাকা পরিশোধের বিষয় নিয়ে রিয়াজের সঙ্গে দিপু মালাকারের ঝগড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াজ মিয়া প্রতিশোধ নিতে দিপু মালাকারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে ওই দুই সহযোগিকে নিয়ে তাদের হত্যা করে। উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ দুপুরে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের পূর্বের হাওর থেকে অজ্ঞাত এক নারী ও শিশুর ক্ষতবিক্ষত গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ২৪ মার্চ রাতে নিহত দিপু মালাকারের ছোট বোন পারুল মালাকার লাশ শনাক্ত করেন। ২৬ মার্চ দিপু মালাকারের ছেলে বিজয় মালাকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।