‘বিতর্কিতদের দিয়ে গঠিত সিলেট ছাত্রদলের কমিটি গঠনতন্ত্র পরিপন্থী’

ডেস্ক রিপোর্ট:চলতি বছরের ১৩ জুন ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে মৎস আড়ৎ ব্যবসায়ী, বিবাহিত তিন সন্তানের জনক, ছিনতাইকারি, ফুটপাতে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী ও ছাত্র রাজনীতিতে অনভিজ্ঞদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উত্থাপন করেছেন ঘোষিত কমিটিতে স্থান পাওয়া ও পদবঞ্চিত কয়েকজন নেতা। মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, সিলেট ছাত্রদলের ঐতিহ্য রয়েছে এবং তিলে তিলে ছাত্রদলকে আমরা সুসংগঠিত করেছি। ৩ জুন ঘোষিত কমিটিতে বিতর্কিত ও ঘৃণিত ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত কমিটি এ ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে ধাবিত করেছে। লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, নবগঠিত সিলেট ছাত্রদলের কমিটিতে দলের গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত। বিবাহিত, প্রবীণ ও পেশাজীবীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ অবস্থায় দলের পক্ষে কাজ করার মনোবল হারিয়ে ফেলেছেন দুঃসময়ের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন একজন ব্যবসায়ী। তিনি কাজিরবাজার ও টুকের বাজার মৎস ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে ২০১০ সালে সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। পড়াশুনায় আলতাফ এসএসসি উত্তীর্ণ। জেলার সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনারও প্রবাস ফেরত একজন ব্যবসায়ী। বিবাহিত জীবনে বর্তমানে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এ্যাষ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করলেও তিনি বর্তমানে সিলেট কোর্টের মোহরী হিসেবে কর্মরত। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে, সিলেট মহানগরের রাজনীতিতে তার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান ২০০৩ সালে ছাত্রলীগ থেকে তৎকালীন ছাত্রদলের সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর মাধ্যমে ছাত্রদলে যোগ দেন। এরপর থেকে ছিলেন যুক্তরাজ্যে। ২০১৪ সাল থেকে তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিএনপি নেতা এমএ হকের নিকটাত্মীয়। এ অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে কমিটি বাতিলেরও অনুরোধ জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করা হয়। পাশাপাশি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাসরুর রাসেল ও সুহেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল ইবনে রাজা ও শাকিলুর রহমান, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুর মজিদ চৌধুরী, পদবঞ্চিত নেতা সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন ও আব্দুস সালাম, সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরান আহমদ, এমসি কলেজের সাবেক আহ্বায়ক বদরুল আজাদ রানা ও সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।