নন্দিত সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ইচ্ছামতো উন্নয়নের নামে টাকা লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মহানগরে যে কাজ করছেন সেটি সরকারের উন্নয়ন কাজ। কিন্তু তিনি প্রচার করছেন সেটি তিনি করেছেন। সরকার টাকা না দিলে তিনি টাকা কোথায় পেলেন। সরকারের এই টাকাও ঠিকমত কাজে লাগেনি।
বুধবার (৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে সিলেট শহরতলীর দক্ষিণ সুরমার ময়ূরকুঞ্জ কনভেনশন সেন্টারে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হানিফ আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের টাকা লুটপাট করে কেউ মাফ পাবেন না। দুদকের মাধ্যমে তাদের বিচার এই দেশেই হবে।
বর্ধিত সভায় হানিফ বলেন, আগামী ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচন সিলেটের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করেছে। সেটি ধরে রাখতে হবে।
এই নির্বাচনে শঙ্কার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতবারের পরিস্থিতি এবার নেই। গতবার দলেও কিছু অনৈক্য ছিল, কিন্তু এবার আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। ২০১৩ সালের নির্বাচন ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। জনগণ এখন উন্নয়ন অগ্রগতির পক্ষে। তাই খুলনা এবং গাজীপুরের মতোই সিলেটে নৌকাকে বিজয়ী করে দুর্নীতিবাজদের রুখে দেবে জনগণ।
হানিফ বলেন, গত নির্বাচনে হেফাজত ইস্যু নিয়ে মিথ্যাচার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করা হয়েছিল। এবার দল সুসংহত, নৌকার বিজয় হবেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জামায়াতের আমলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই দেশের নেতৃত্বে এসে মাত্র সাড়ে ৯ বছরে বাংলাদেশকে তলানি থেকে মহাশূন্যে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সহ সভাপতি গাজী জাফর সাদেক কয়েস, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা হক, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রুবি ফাতেমা ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আছমা কামরান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সালমা সুলতানা।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি শাহ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম রশীদ চৌধুরী, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহরিয়ার কবির সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামিম আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েস, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মুশফিক জায়গীরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, মহানগর যুব মহিলা লীগের আহবায়ক নাজিরা বেগম শিলা, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল বাছিত রুম্মান প্রমুখ।
মন্তব্য