দখলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে সিসিক: মেয়র আরিফ

নন্দিত সিলেট :: জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা ও ফুটপাথে কোন ধরনের স্থাপনা তৈরী ও অবৈধ ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সিসিক।’ আজ রবিবার সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, সুবহানীঘাট, শাহজালাল উপশহর ও মেন্দিবাগ এলাকায় অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড, অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাথ হকারমুক্ত অভিযান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন আরিফ। অভিযানে নগরীর বন্দরবাজারে ফুটপাত ও রাস্থা দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরণের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করায় বেশ কিছু মালামালও জব্দ করা হয়। পরে বিকেলে নগরীর সুবহানীঘাটে অবস্থিত কাঁচাবাজারের সামনে রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পিকআপ স্ট্যান্ড গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে মেন্দিবাগ ও ল’ কলেজের সামনের অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ডও গুড়িয়ে দিয়ে উন্মুক্ত করা হয় সুবহানীঘাট-চালিবন্দর রাস্তা। অভিযানকালে সাংবাদিকদের কাছে মেয়র আরো বলেন, ‘নগরীর আনাচে-কানাচে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড। এসব অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে নগরবাসীর চলাচলে শঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকে ট্রাক টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে। সেখানে ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান অবস্থান করছে। তবে এখনো কিছু কিছু স্থানে রাস্তা দখল করে ট্রাক, পিকআপের অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে, সেগুলোও উচ্ছেদ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে নগরীর চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার, সুবিদবাজারসহ সব স্থানেও অভিযান চালানো হবে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরিশ্রমের ফসল ট্রাক টার্মিনাল। অর্ধশত কোটি টাকা ব্যায়ে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। বাস টার্মিনালের কাজ শেষ হলে নগরীর পরিবেশ হবে উন্নত হবে।’ অভিযানে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিকুলিন চাকমা, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।