জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে জানুয়ারি থেকে আমদানী-রপ্তানি বন্ধ

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি:নয় মাস যাবৎ জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে মালামাল আমদানী-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্থবির রয়েছে স্টেশনটি। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক। ১৯৪৭ সালে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনটি চালু হয়। সাত দশকের পুরনো এ স্টেশন দিয়ে মুলিবাঁশ, টমেটো, পান, আদা, কমলা, সাতকরা, আঙ্গুর, আপেল,গুড়, মশারী, সুুঁটকি,আলুসহ অন্যান্য কাচামাল আমদানী-রপ্তানি হয়ে আসছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সবধরনের মালামাল আমদানী-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে অর্ধশতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। সরকারও কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এ স্টেশন থেকে সরকার প্রতি বছর গড়ে ৩০-৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতো। কিন্তু চলতি বছর এ পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাস্টম ঘাটটি জনমানবশূন্য। গড়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন পর্যটক আসা-যাওয়া ছাড়া তেমন কোনো মানুষের আনাগুনা নেই এ স্টেশনে। কর্মকর্তারা অলসভাবে সময় কাটাচ্ছেন। কয়েকজন শ্রমিক জানান, এখানে কোনো মালামাল আমদানী-রপ্তানি না হওয়ায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি এবং অনাহারে-অর্ধাহারে এক মানবেতর জীবনযাপন করছি। জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সিপন কুমার দাস জানান, আইনী কোনো জটিলতা নেই। ব্যবসায়ীরা আসছেন না তাই গত জানুয়ারি মাস থেকে এ স্টেশনে আমদানী-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। সীমান্ত খোলা রয়েছে স্টেশনের অফিসও খোলা আছে। স্টেশনের ব্যবসায়ী মঞ্জুর আহমদ মঞ্জু বলেন, এ মৌসুমে মূলত আদা আসে বারত থেকে। আদার দাম বাংলাদেশ থেকে ভারতে বেশি। তাই ব্যবসায়ীরা আদা আনছেন না। শিগগিরই মালামাল আমদানী হবে বলে তিনি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায় জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের ব্যবসায়ীরা খরচ বেশি হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এ স্টেশন দিয়ে মালমাল আমদানী বা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা রাজস্ব নিয়ে কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণেই স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাথে কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেও এর কোনো সমাধান হয়নি। সামনে আপেল, সাতকরা, কমলার-মাল্টার মৌসুম। শিগগিরই স্টেশনটি চাল না হলে সরকার বড় রকম রাজস্ব হারাবে বলে জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল মন্তব্য করেন।