সিলেটে কমতে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

নন্দিত সিলেট:গেলো ঈদুল আজহার আগে ও পরবর্তী সময়ে সিলেটে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল প্রবল। ঢাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করা ডেঙ্গু ছড়িয়ে যায় সিলেটেও। হাসপাতালগুলোও রোগের ভয়াবহতার মোকাবিলায় গুরুত্ব দেয়। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হয় ডেঙ্গু ওয়ার্ড। গত আগস্টে দিনের পর দিন বেড়ে চলছিল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তির সংখ্যা। অবশ্য চিকিৎসকরা নির্ভয়ে মোকাবিলা করেছেন ডেঙ্গু রোগের। তাদের সেই প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত। দেশের অন্যান্য স্থানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলেও সিলেটে একজন রোগীরও মৃত্যু হয়নি। এটা চিকিৎসকদের সফলতা হিসেবে দেখছেন অনেকে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল না। আস্তে আস্তে এর প্রকোপ কমে আসছে সিলেটে। গত ৪৮ ঘণ্টা আগে সিলেট বিভাগে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন মাত্র চারজন। এরমধ্যে তিনজন সরকারি হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে আটজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ছয়জন। বর্তমানে হাসপাতালে এ রোগে ভর্তি আছেন ১৪ জন। সূত্র আরও জানায়, এ যাবৎ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ৪২৪ জন রোগী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। যাদের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে ঢাকায় ভ্রমণের কারণে আক্রান্ত ৩৫১ জনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু পজিটিভ ও ৭৩ জনের নেগেটিভ ফলাফল আসে। সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. দেবপদ রায় বলেন, সিলেটে ডেঙ্গুর প্রকোপ একেবারেই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিভাগের মধ্যে কোথাও ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি। কেবল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আটজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিভাগের অন্যান্য স্থানে এই প্রথম এ রোগে ভর্তি জিরোতে নেমেছে। তিনি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এলাকায় ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যায়। সিসিক খুব সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়ে এডিস মশার উৎপত্তিস্থলগুলো ধ্বংস করে। কেবল সিসিকে নয় বিভাগের প্রতিটি জেলায় প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগকে সহায়তা করায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে।