হবিগঞ্জে মাইক্রোবাস ট্রেনের নিচে পড়ে একজন নিহত এবং অপর ১৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত হওয়া একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন, বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢামেক হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে রেজাউল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার রাত ১০টার দিকে সিলেটে বনভোজন শেষে ফেরার পথে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে রেলগেটের ব্যারিকেড অমান্য করে মাইক্রোবাস ট্রেনের নিচে পড়ে। এতে মাইক্রোবাসের ১০ যাত্রী গুরুতর আহত হন।
নারায়াণগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানের ১০ জন কর্মীকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিল মাইক্রোবাসটি। ঢাকা-সিলেট রেলপথের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার লস্করপুর রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী আহতরা হলেন- কুড়িগ্রামের শাহ আলম (৩০), যশোরের শিমুল, আব্দুর রাজ্জাক (২৯), শেরপুরের নয়ন মিয়া (৩২), গোপালগঞ্জের তরিকুল ইসলাম (৩৫), সিরাজগঞ্জের মনিরুল ইসলাম (২৮), রংপুরের রেজাউল হক (২৬) ও মুজিবুর রহমান (৩২)। আহত অপর দু’জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইনেসপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, রাত তিনটার দিকে আহতদের হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে রেজাউলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত চারজন হলেন শিমুল (২৪) মনির হোসেন (২৩) আতিক (২০) ও জাকির (৩২)। তবে, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি সূত্র জানান, এ দুর্ঘটনায় মোট ১৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খান জানান, রাত ১০টায় কুশিয়ারা নামের লোকাল ট্রেনটি সিলেট থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। লস্করপুর রেলগেটে আসার আগে ব্যারিকেড ফেলে দেন সেখানে কর্মরত রেল কর্মচারী। কিন্তু সিলেট থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসটি ব্যারিকেড অমান্য করে কিছু জায়গা ঘুরে এসে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ট্রেন এসে চাপা দিলে মাইক্রোবাসে থাকা সবাই আহত হন।
শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শামীমা আক্তার জানান, আহতদের সবাইকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য