শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পার্কিংয়ে অবৈধ টোল আদায়

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি বৃটিশ আমল থেকেই সুনামের সঙ্গে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছে। বছর কয়েক আগে স্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হয়। এতে করে এ স্টেশনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিসর বৃদ্ধি ও যাত্রীরা আধুনিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। স্টেশনের পেছনের অংশে ট্রেন যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সুপরিসর একটি গাড়ি পার্কিং এলাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেট বিভাগ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করেন। রেলওয়ের অর্থনৈতিক স্বার্থে স্টেট বিভাগ পার্কিং এলাকাটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইজারা দিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইজারাদার যথাযথ নিয়ম না মেনে স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণের মাধ্যমে ইজারা আদায় করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। সিদ্দিকুর রহমান মাসুম নামে এক ভুক্তভোগী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, গতকাল আত্মীয়কে আনতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যান। তিনি গাড়ি পার্কিং এলাকায় প্রবেশ করা মাত্রই পার্কিং ইজারাদারের লোকজন তাকে ঘিরে ধরেন। বলা হয়, রেল পার্কিং তারা ইজারা নিয়েছে, এখানে প্রবেশ করলেই ৫০ টাকা টোল দিতে হবে। এ সময় সিদ্দিকুর রহমান মাসুম গাড়ি পার্কিং করেননি জানালেও ইজারাদারের লোকজন খারাপ আচরণ করেন। পরে তিনি রশিদ গ্রহণ করে ৫০ টাকা দিতে বাধ্য হন। গত ৩১শে ডিসেম্বর পাহাড়িকা ট্রেনে আগত জুনাইদ চৌধুরী নামে আরেক যাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, তিনি স্টেশনে নামার পর তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি টমটম (ব্যাটারি চালিত) ভাড়া করেন। তিনি ওই টমটম নিয়ে পার্কিং এলাকায় প্রবেশ করা মাত্রই ইজারাদারের লোকজন ১০ টাকা টোল দাবি করে। ওই যাত্রী টোল আদায়কারীকে জানান যে, এই পার্কিংয়ের টোল যাত্রীরা দেবে কেন? যারা এই পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে ব্যবসা করছেন তারা দেবে। প্রথমে টোল প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরে তিনি রশিদ গ্রহণের মাধ্যমে ১০ টাকা টোল প্রদান করতে বাধ্য হন। রেলওয়ের ইজারা প্রদান শর্ত অনুযায়ী যাত্রী থেকে টোল আদায় করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনের মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট রেল পার্কিং ইজারা দেয়া ও তদারকি করা রেলওয়ে স্টেট বিভাগের দায়িত্ব। এ বিষয়টি তার এখতিয়ার বহির্ভূত। তিনি আরো জানান, তবে যাত্রীদের থেকে টোল আদায় করা নীতিমালা পরিপন্থি ও বেআইনি। যাত্রী সাধারণ মনে করেন, এ বিষয়ে রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি প্রয়োজন। পাশাপাশি এ বিষয়টির প্রতি রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ ও জরুরি। অন্যথায় টোল নিয়ে যাত্রী ও পার্কিং ইজারাদারের লোকজনের মাঝে সৃষ্ট বাকবিতন্ডা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।