হবিগঞ্জের ‘সুটকি ব্রিজে’ ফাটল, যান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের সুটকি নদীর উপরে অবস্থিত বেইলি ব্রিজটি বিকল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন যাবত ব্রিজের বেশ কয়েকটি পাটাতনে ফাটল দেখা দিলেও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছিল। সোমবার বিকাল থেকে ব্রিজের পাটাতনে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন এবং যাত্রীরা পড়ে চরম দুর্ভোগে। বিশেষ করে মালামাল নিয়ে হবিগঞ্জ থেকে বানিয়াচংয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাহন নিয়ে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বেশি বিপাকে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কে সুটকি নদীর উপরে অবস্থিত বেইলি ব্রিজটি সবার কাছে সুটকি ব্রিজ নামেই পরিচিত। ব্রিজটি অতি পুরাতন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ও ভারী যানচলাচলের কারণে সম্প্রতি ব্রিজটি ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়ে। পাটাতনে ফাটল দেখা দিলেই মাঝে মধ্যে ব্রিজের কয়েকটি পাটাতন মেরামত করা হয়। এভাবেই চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের পাটাতন ও রেলিংয়ে গ্যাসের ঝালাই দিয়ে মেরামতের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কর্তকর্তারা জানিয়েছেন, ব্রিজটি সম্পুর্ণ রুপে মেরামত করতে আরও দুই এক দিন সময় লাগতে পারে। তবে যে গতিতে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ২ লাখেরও অধিক মানুষের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এ ব্রিজটি। কিন্তু ব্রিজটি বিকল হয়ে পড়ায় এই দুই উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠী পড়েছে বিপাকে। ব্রিজের দুই পাড়ে বিভক্ত হয়ে এক পাড় থেকে অন্যপাড়ে গিয়ে অন্য যানবাহন দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এক শ্রেণীর অসাধু চালকরা। এমনই অভিযোগ করেছেন ফরহাদ হোসেন নামে এক যাত্রী। তিনি জানান, হবিগঞ্জ থেকে বানিয়াচং যেতে যে ভাড়া দিতে হয় সে ভাড়া দিয়ে সুটকি ব্রিজ পর্যন্ত গিয়েছেন। পরে অন্য গাড়ি দিয়ে আবার সমান ভাড়া দিয়ে বানিয়াচং যেতে হচ্ছে। জুয়েল চৌধুরী নামে অপর আরেক যাত্রী জানান, সুটকি ব্রিজটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও সরকার এই গুরুত্বপুর্ণ ব্রিজটি নির্মাণে কোন উদ্যোগ গ্রহন করছে না। তিনি বলেন- এ ব্রিজটি দিয়ে দুইটি উপজেলার মানুষ চলাচল করে। ব্রিজটি দ্রুত ভাল করে সংস্কার করা না হলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার শংকা রয়েছে।