সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সদস্যদের নিয়ে এক ঝাঁকঝমকপূর্ণ ‘মিলনমেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সিলেট শহরতলির এয়ারপোর্ট রোডের এ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডে এ ‘মিলনমেলা’র আয়োজন করা হয়েছিলো।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ব্যবসায়ীদের একতাবদ্ধ থাকা একান্ত প্রয়োজন। সিলেট চেম্বার কর্তৃক আয়োজিত ব্যবসায়ীদের এই মিলনমেলার মাধ্যমে সিলেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি গড়ে উঠবে। যা আগামী দিনে সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল করবে। তিনি ঝাঁকঝমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য চেম্বার নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
ড. মোমেন আরও বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। ব্যবসায়ীদের যেকোন দাবী-দাওয়াকে এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি সিলেটের ব্যবসায়ীদের যেকোন সমস্যা সমাধানে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলনমেলার ভেন্যুতে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরাল উন্মোচন করেন।
‘মিলনমেলা’য় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ পুলিশ সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান বিপিএম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বিপিএম, সিলেট চেম্বারের সাবেক প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন সাহা, সহসভাপতি ও মিলনমেলা আয়োজক কমিটি আহবায়ক তাহমিন আহমদ, রেজিস্ট্রেশন কমিটির আহবায়ক মো. সাহিদুর রহমান, সিএনজি পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান ও ওমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়।
অনুষ্ঠানে সিলেট চেম্বারের সদস্যদের জন্য র্যাফেল ড্র, কুইজ প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। র্যাফেল ড্র-তে বিজয়ীদের জন্য মোটর সাইকেল, ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা বিমান টিকেট, এলইডি টিভি, ল্যাপটপ, ইত্যাদি পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, কাস্টম্স এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশারেট সিলেট এর কমিশনার গোলাম মো. মুনীর, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, মোঃ এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, মুশফিক জায়গীরদার, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মোঃ আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমদ, মো. আতিক হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী রাজীব, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিছবাহ, সাবেক সহ সভাপতি হাজী মো. দিলওয়ার হোসেন, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মার্কেট ও এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও চেম্বারের সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য