আগ্রার কারাগারে বন্দি ছেলেকে একনজর দেখতে ভিক্ষা করছেন কাশ্মীরি মা!

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারায় কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা রদ করার পর পরই শ্রীনগর থেকে কাশ্মীরি এক তরুণকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ২২ বছরের ওই তরুণের নাম আসিফ আহমেদ খুশো। কিন্তু মা জামরোদা আর বাবা মুস্তাক জানতে না তার ছেলেকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। পরে সেন্ট্রাল জেলে খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, আসিফকে আগ্রার জেলে পাঠানো হয়েছে। জেলে যাওয়ার পর একবার মাত্র ছেলের মুখ দেখেছেন। আগ্রায় যাতায়াতের খরচ অনেক বেশি। তাই কারাবন্দি ছেলেকে দেখতে অসুস্থ শরীরেও বাড়ি বাড়ি ভিক্ষার ঝুলি হাতে ঘুরছেন জামরোদা। জামরোদা বলেন, ‘আমি আর আমার স্বামী অক্টোবরে একবার ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার পর টাকার অভাবে আর যেতে পারিনি। তাই আবার ছেলের মুখ দেখতে সবার কাছে সাহায্য চাইছি।’ ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শ্রীনগরের এসডি কলোনির বাড়ি থেকে ২২ বছরের তরুণ আসিফ আহমেদ খুশোকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে সেন্ট্রাল জেলে খোঁজ করতে গিয়ে মা জামরোদা আর বাবা মুস্তাক জানতে পারেন, আসিফকে আগ্রার জেলে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, বিতর্কিত ‘জাতীয় সুরক্ষা আইনে’ আসিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ২০১৬ সালেও পাথর ছোড়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে আসিফের বাবা মুস্তাক বলেন, তার ছেলে পাথর ছোড়ার সঙ্গে জড়িত নয়। সে সময় সবাই রাস্তায় ছিল। আমার ছেলে পাথর ছোড়েনি, তবু গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। আসিফের পরিবার একা নয়। কয়েক হাজার কাশ্মীরিকে উপত্যকার বাইরের জেলে পাঠানো হয়েছিল। দূরত্বের কারণে সন্তানকে একবার চোখের দেখাও দেখতে পারেনি অনেক পরিবার।