মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত

মাধবপুর প্রতিনিধি:করোনাভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করার মুহূর্তে যেখানে বিশেষজ্ঞ ও অতিরিক্ত চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদ শূন্য রয়েছে। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। একদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেকই সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে অন্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা জেলার বাইরে ঢাকা কিংবা সিলেট গিয়েও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারছেন না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে। ১৯৯৭ সালে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে এলাকার মানুষের সেবার মান বৃদ্ধি করতে আধুনিক যন্ত্রপাতিও বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার স্বল্পতার কারণে অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি, এক্স-রে মেশিন বস্তাবন্দি অবস্থায় তালাবদ্ধ ঘরে পড়ে আছে। এ হাসপাতালে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ২১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। গেল নিয়োগে ডাক্তারদের শূন্য পদে কয়েকজনকে নিয়োগ দেয়া হলেও কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ হাসপাতালে দেয়া হয়নি। হাসপাতালে অনুমোদিত বিশেষজ্ঞ পদগুলো হল- জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক্স), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন)। সোমবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ডাক্তার বসে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে তাদের এমন উৎকণ্ঠা। এর মধ্যে সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা। হাসপাতালের নার্স ফেরদৌসি বেগম জানান, নার্সরা সুরক্ষিত নন। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার মুরসালিন বলেন, ডাক্তাররা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। অরক্ষিত অবস্থায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের দায়িত্বরতদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) নেই। এখন পর্যন্ত এগুলো সরবরাহ করা হয়নি। ব্যক্তি উদ্যোগে কিনে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করছেন ডাক্তাররা। মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএইচএম ইশতিয়াক মামুন জানান, ডাক্তাররা ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পিপিই এখনো সরবরাহ হয়নি। নেই করোনা শনাক্তের কোনও কিট।