হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরায় তিন সাংবাদিককে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন হামলার শিকার সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান। মালায় আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫/৭ জনকে আসামী করা হয়। এদিকে, মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই খালেদ নামে এক আসামীকে আটক করে। আটককৃত খালেদ প্রধান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হারুনের মালিকানাধিন ‘অরবিট হাসপাতালের’ ম্যানাজার। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন- বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরে চেয়ারম্যান হারুণ পালিয়ে গেছেন। তবে তাকেসহ বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দরিদ্রদের জন্য আসা সরকারী ত্রাণ বিতরণ করেন আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন। কিন্তু তিনি ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিবর্তে প্রত্যেককে ৫ কেজি করে প্রদান করেন। এনিয়ে দৈনিক প্রতিদিনির সংবাদের নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ও উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি শাহ সুলতান আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে সাধারণ মানুষের বক্তব্যসহ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান হারুনসহ ২০/২৫ জন লোক সাংবাদিক শাহ্ সুলতানের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্বরা সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ও বুলবুল আহমেদকেও মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করেন এবং আশংঙ্কাজনক অবস্থায় সাংবাদিক শাহ সুলতানকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
মন্তব্য