নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা যুবককে মসজিদে নামাজ পড়তে না গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলায় প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক পক্ষের ঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত ২৬ এপ্রিল ২য় রমজানের তারাবির নামাজের সময় হলেও হামলা ও লুটপাটের এ ঘটনা আজ বুধবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলায় গুরুতর আহত ৪ জনকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের আলীফর উল্লার পুত্র গার্মেন্টস কর্মী মাহিদ মিয়া গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি প্রজাতপুর গ্রামে আসেন। বাড়ীতে এসে তিনি গ্রামে অবাদে চলাফেরা করেন। এমনকি ধর্মমন্ত্রণালয় কর্তৃক তারাবী নামাজে ১২ জনের বেশী মুসল্লী নামাজ না পড়তে বিধিনিষেধ দেয়া হলেও মাহিদ প্রথম রোজা থেকেই গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়ে আসছেন। এমন অবস্থায় ২য় রমজান সন্ধ্যায় একই গ্রামের মৃত ছাও মিয়ার পুত্র মইনুল ইসলাম মাহিদকে ঘর থেকে বের না হয়ে সরকারের নির্দেশনা মেনে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অনুরোধ করেন। এসময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায় মাহিদ ও মইনুল ইসলামের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে মাহিদসহ তার অন্যান্য লোকজন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বুধবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় মইনুল ইসলাম, তার চাচাতো ভাই স্বপন মিয়া ও সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এ হামলায় ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্য তারেক মিয়া (২২), স্বপন আহমেদ (৩০) ইমরান মিয়া (২০) ও সালামিন (২৫) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহত সেলিম মিয়া (৩৫), উজ্জল আহমেদ (৩৩), মইনুল ইসলাম (২৮), প্রবীর মিয়া (২৫), হাফিজুল ইসলাম (২৯)। তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সামছউদ্দিন খাঁন।
মন্তব্য