হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এক ওয়ার্ড মেম্বারকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় বানিয়াচং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশসাফ চৌধুরী বাবুকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের চতুরঙ্গ রায়ের পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে বানিয়াচং থানা পুলিশ। উপজেলার ১ নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মিজানুর রহমানকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মে ১ নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোবারক মিয়াকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে তাকে লাঞ্চিত করেন বাবু। বিষয়টি মিটমাট করার জন্য রবিবার (১০ মে) ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনসহ এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত পর্যালোচনা করে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসশাফ চৌধুরী বাবুকে দোষী সাব্যস্ত করেন বৈঠকে আসা শালিস ব্যাক্তিত্বরা। তাদের নির্দেশনাক্রমে মেম্বার মোবারক মিয়ার কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয় বাবুকে। এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে দুই হাত জোর করে ক্ষমা চান তিনি। এদিকে সালিশ বৈঠক শেষ হতে না হতেই আবারো একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমানের সাথে তর্কে জড়ায় বাবু। বৈঠকে আসা সবার সামনে বিগত দিনের ন্যায় মেম্বার মিজান মিয়াকে হেনস্থা করে বাবুসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই হতবিহবল হয়ে পড়েন। একফাঁকে ইউনিয়নের একজন মহিলা মেম্বার মিজানকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে বাবুসহ তার ভাইয়েরা মিলে অতর্কিত হামলা চালায় ওই মহিলা মেম্বারের উপর। এ বিষয়ে রবিবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বানিয়াচং থানা পুলিশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসশাফ চৌধুরী বাবুকে রাতেই তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন বাবুর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে
মন্তব্য