বিগত ১১ বছর ধরে কোন প্রচার না করে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন এক আলোকিত সক্ষম পরিবার।তাই তাদের এই ফাউন্ডেশন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কিন্ত কোন এক যৌক্তিক কারনে এই ফাউন্ডেশন নিয়েই আজ আমার দুটো কথা। গত ২০এপ্রিল প্রবাসী লেখক Mash-Huda ChoudhuryMina তার দুই মেয়ের অর্থায়নে আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্দেগ্যে ১৩০টি পরিবারের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কিছু মধ্যবিত্ত পরিবার, যারা কষ্ট করবে কিন্ত কারো কাছে বলতে পারবে না, হাত পাততে পারবে না তাদের সহ কিছু নিম্নবিত্ত পরিবার ছিলো। এদের মাঝে কিছু মধ্যবিত্ত পরিবারকে একমাসের খাবার, বাকি কিছু পরিবারকে পনেরোদিনের খাবার, কিছু পরিবারকে এক সপ্তাহের খাবার সরবরাহ করেছেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যে লেখক Mash-Huda ChoudhuryMina আপা বড় মেয়ের অর্থায়নে আরো এমন কিছু পরিবারের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপা ও আপার মেয়েরা। এখানে উল্লেখ করা খুবই জরুরী যে আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী ফাউন্ডেশন Mash-Huda ChoudhuryMina আপার আব্বা সিলেটের সরকারী পাইলট হাইস্কুলের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরীর নামে আপার মেয়েরা, আপা ও আপার ছোট ভাই Monjurul Islam Chowdhury মিলে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। এবং এই প্রতিষ্টানের নিরানন্বই ভাগ অর্থায়ন আপার মেয়েরা করেন। তাদের অর্থায়নেই নিরানন্বই ভাগ কাজ চলে। বাকি এক ভাগ অর্থায়ন আপার দুই বোনের পরিবার থেকে আসে। তাই আপারা খুব সাবধানতার সহিত যাচাই বাছাই করে, সীমিত আকারে কাজ করেন। আপার ভাই মন্জুর ভাই এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে সার্বিক দায়িত্বে আছেন। মন্জুর ভাই আপাদের নির্দেশ অনুযায়ী যাবতীয় কাজ আপার অন্য দুই ভাইয়ের ছেলেদের নিয়ে করেন। আপাদের এই ফাউন্ডেশনে বাইরের কেউ অর্থায়ন করে সংযুক্ত নয়। আপারা বাইরের কারো কাছ থেকে কোন অনুদান আনেন না। এমনকি আপাদের পরিবারের অন্য কোন সদস্যরা ও এই ফাউন্ডেশনে অর্থায়ন করেন না। যদি ও আপার পরিবারের অনেক সদস্যই দেশের বাইরে ভাল অবস্হানে আছেন। আপাদের পরিবারের কেউ অর্থায়ন করতে চাইলে আপারা নিষেধ করেন না, করবেনও না। কিন্ত কাউকে আপারা টাকা দেবার জন্য বলেন না। সে আপার ভাইয়েরা, বা তাদের ছেলেমেয়েরা যেই হোন না কেন? প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আপারা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে সহায়তা, অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল বিভিন্ন পরিবারের মেয়েদের বিয়ে ও চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা সহ বিভিন্ন দূযোর্গ ও আপদকালীন সময়ে অসহায় অস্বচ্ছল লোকজন ও নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারকে সার্বিকভাবে সহায়তা ও সহযোগিতা করে আসছেন। আমি সিলেট সরকারী পাইলট উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এবং আমার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক স্যারের স্মৃতি বিজড়িত প্রতিষ্ঠানের মানবতামূলক কর্মকান্ডে আমার অতি আগ্রহে আর আপার অনুপ্রেরণায় সম্পৃক্ত হয়ায় দশজন উপযুক্ত মানুষের হাতে জীবনসেবা প্রদান করি। বেশ কতদিন আগে আমি ক'জন মানুষের বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তব অবস্থা নিয়ে ফেসবুকে ছোট্ট স্ট্যাটাস দেয়ায় লেখক Mash-Huda ChoudhuryMina আপার সুনজরে পড়লে মানবিক দৃষ্টিকোণ বিচার করে আপা সপ্রণোদিত হয়ে তার দানের হাত প্রসারিত করেন। এমন মহৎ কাজে যুক্ত হলে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। সে সব কিছুকে পেছনে ফেলে সেবাগ্রহীতার দোয়া ও প্রার্থণা আমার পিতৃতুল্য প্রয়াত শিক্ষক, তাঁর সুসন্তানগণের ব্যক্তি জীবনকে সুখময় করুক, এ প্রত্যাশা রইল।
মন্তব্য