হবিগঞ্জের বাহুবলে জমিতে হাঁসের ধান খাওয়া নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪শ জনকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে বাহুবল থানায় এ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেছে। আর সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অলুয়া গ্রামের মর্তুজ আলীর ধানের জমিতে বুধবার সকালে একদল হাঁস উঠে ফসল নষ্ট করে। এ নিয়ে হাঁসের মালিক ভেড়াখাল গ্রামের আমান উল্লার সাথে মর্তুজ আলীর বাকবিতন্ডা থেকে চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আলুয়া ও ভেড়াখাল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ২ ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী সংঘর্ষে বাহুবল থানার দুই এসআইসহ ১৯ পুলিশ আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর নেতৃতে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবিরসহ একদল দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দীর্ঘ চেষ্টার পর ১শ’ ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৫৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত এসআই শহীদুল ইসলামকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত এসআই শাহ আলীসহ অন্যান্য আহতদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা এ দাঙ্গার সাথে জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।
মন্তব্য