আজ মন খারাপের দিন

হুমায়ূন অাহমেদ একজন কিংবদন্তি, একজন অমর কথাসাহিত্যিকের নাম। যার লিখার অামেজ কমেনি এখনও। কমেনি পাঠকপ্রিয়তা। যাকে ভলোবাসা যায় অনন্তকাল। যার লিখনি অামার দীর্ঘ বছরের জীবনের এক সৌরভ এনে দিয়েছিলো। এখনও সেই ঘ্রাণ নিয়েই ঘুরি অামি। যার লিখনি এখনও প্রাণের শরৎ হয়ে রয়। নাটকপাড়া যেমন মাতিয়েছিলেন ঠিক তেমনি গানের ভুবনও। অামরা মধ্যবিত্তরা অামাদেরকে অনুভব করেছি। অামাদের তুচ্ছাতিতুচ্ছ চাওয়া যে কতটা মূল্যবান তা হুমায়ূন অাহমেদ চিনিয়ে গেছেন। অামাদের ভোঁতা অনুভূতিগুলিকে শ্রাবণের বৃষ্টিতে, দক্ষিণের জানালায়, ভরা জোসনায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন এই অমর কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন অাহমেদ। অাজ স্যারের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। দেখতে দেখতে অাটবছর। কৃষ্ণপক্ষে অরুর ভালোবাসা, নন্দিত নরকে রাবুর সরলতা, রাবুর বৃষ্টিতে ভেজা, মন্টুর বিষধর সাপ মারার মধ্যে দিয়ে প্রবল কঠোরতার প্রকাশ, শঙ্খনীল কারাগারে খোকার মতো এতো চমৎকার ভাই এগুলো কি অামাদের জীবনকে ভালোবাসার ভালো থাকার রসদ নয়? মৃণ্ময়ী, অাজ অামি কোথাও যাব না, তুমি অামায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্রণে, একাত্তর এবং বাবা, দ্বৈরথ, চক্ষে অামার তৃষ্ণা, বৃষ্টি ও মেঘমালা, যদিও সন্ধ্যা, অনিল বাগচির একদিন। মিসির অালী, হিমু হুমায়ূন অাহমেদের অনন্য সৃষ্টি। লজিক এন্টিলজিক নিয়ে কাজ করেছেন এই দুই চরিত্রে। পৃথিবীকে রঙিন করার, শত বর্ণে রাঙিয়ে দেয়ার, অভিভূত করার মতো মানুষ ছিলেন তিনি। মন্ত্রমুগ্ধ হওয়ার মতো সফল ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্রকার হিসেবে সোনা ফলিয়েছেন সে হিসেব পুরোনো। কি দিয়ে অাঁকা যায় এই মানুষটিকে।গৃহত্যাগী জোছনা অাহা এই জোছনার গল্প তেমন করে অাজ কেউ বলে না।